সত্য গুণের সংজ্ঞা:
সত্য কঠোর গুণ। সত্যই সুন্দর, সত্যের প্রকাশ কল্পনাকে বাস্তবায়ন করে। সত্যই প্রেমকে মধুর রূপ প্রদান করে। সত্য প্রকৃত মানবতার পরিচয় বহন করে। সত্য জীবনে শান্তি ছায়া প্রদান করে। সত্য বিকাশে দিশারী ও চরিত্র গঠনের পাথেয়। সত্যই আলোর উৎস প্রদান করে। সত্য জ্ঞানকে পবিত্র করিয়াই আবিষ্কারের মাধ্যমে নতুন রূপ প্রদান করে। সত্য জীবন দানে সহায়ক এবং মনে শক্তি ও গতি প্রদান করে। সত্য হইতে শ্রেষ্ঠ নাই, আর সত্যের তুল্যও নাই, সেই পথের নাম সত্য-ধৰ্ম্ম। আত্মার সত্য-স্বার্থ এই মূল মন্ত্রের প্রয়োজন। সত্য অবিচলে যে কষ্ট, তাহা আত্মতৃপ্তি প্রদান করে। পার্থিব স্বার্থে মনের সুখ কিন্তু সত্য-স্বার্থে আত্মার সুখ যা চিরস্থায়ী। সত্য পথে চলা সকলার প্রধান উপকরণ হওয়া প্রয়োজন এবং নিজের জীবনে সত্য প্রতিষ্ঠা হইলে, প্রকৃত অমৃত তৃপ্তি প্রাপ্তি ঘটিয়া থাকে।
--- আদিষ্ট নিরুপম।
*সত্যধর্ম্ম জ্ঞানের ধর্ম্ম। আত্মার উন্নতি সাধনের পথ। অজ্ঞানতা রয়েছে বলেই পৃথিবীবাসীর বুঝতে এত অসুবিধা হচ্ছে। এই ধর্ম্মের নিয়ম অনুসারে প্রত্যেককে প্রথমে আগে স্বীকার করতে যে
***[আমি ভালো না। ভালো হতে চাই। জন্মসূত্রে আমি পাশবদ্ধ পশু। এই পশুত্ব অর্থাৎ অষ্টপাশ ষড়রিপুর প্রবৃত্তি থেকে সত্যকে অবলম্বন করে গুণের অভ্যাস দ্বারা মানুষ হতে চাই। এই মনুষ্যত্ব অর্জনের উদ্দেশ্য নিয়েই আমি সত্যধর্ম্মের প্রতিটি বিষয়কে অন্তরস্থ করব]।
এই নিয়মের বাইরে কিছু হয়না। এখানে কাউকে তোষামোদ করা হয় না। প্রকাশ্যে নিজেকে পাশবদ্ধ পশু বলতে শিখতে হয়। এটা সত্যধর্ম্মের নিয়ম। তারপর জ্ঞানের দ্বারা সত্যকে জানা যায়। তার আগে বাদবাকি কিছু বোধগম্য হবে না এটা স্বাভাবিক।কারণ গুণের বৈশিষ্ট্য পরমপিতার সৃষ্টি সেই নিয়মই ঈশ্বর আর অন্তত গুণের সমষ্টি পরমেশ্বর। সুতরাং মিথ্যাচার করে গুণ বোঝা যায় না। গুণ সত্য যা বাস্তব।
0 মন্তব্যসমূহ