আত্মার বৈশিষ্ট্য চৈতন্যশক্তি। এই চৈতন্যশক্তি নির্ভর করে চেতনার ওপর। যে ব্যক্তি যতবেশি সচেতন তার চৈতন্যশক্তি তত উর্বর। আত্মার বিনাশ নেই আত্মা অবিনশ্বর। শরীর যদি আত্মা হত তাহলে শরীর যত সময় থাকত কারোর মৃত্যু হত না কিন্তু বাস্তবে এটা সম্ভব হয় না। গুণের অভাবে বহু জন্ম ধরে আত্মা অতৃপ্ত থাকে।
অষ্টম পরিচ্ছেদ
পূর্ব্বে যাহা যাহা লিখিত হইয়াছে, তাহাতেই পাঠক জানিতে পারিয়াছেন যে, আত্মাকর্ষণদ্বারা কি কি কাৰ্য্য হইয়াছে ও হইতেছে। তথাপি নিম্নে এরূপ কতকগুলি ঘটনার উল্লেখ করিলাম, যাহাতে সূক্ষ্মজ্ঞানবিহীন ব্যক্তিরাও আত্মাকর্ষণে সম্পাদিত অলৌকিক কার্য্যের বিষয়, বিদিত হইতে পারিবেন।
১মতঃ প্রাচীনকাল ধর, আত্মাকর্ষণদ্বারা মহর্ষি বাল্মীকি রামচন্দ্রের জন্মগ্রহণের বহুবৎসর পূর্ব্বে রামায়ণ রচনা করিয়াছিলেন। আত্মাকর্ষণ দ্বারা মহর্ষি কৃষ্ণ দ্বৈপায়ন, কুরুক্ষেত্র যুদ্ধে নিহত ধার্ত্তরাষ্ট্রগণ প্রভৃতিকে তাহাদিগের আত্মীয়গণের নেত্রগোচর করিয়াছিলেন। এ সকল দূরবর্তী কালের কথা। অল্পকাল হইল, আমেরিকা ও ইংলণ্ডে আত্মাকর্ষণদ্বারা যে সকল অদ্ভুতক্রিয়া সংঘটিত হইয়াছে, তাহার মর্ম্ম অনেকেই জ্ঞাত আছেন। এ সকলও দূর দেশের কথা। আত্মাকর্ষক মোনাই ফকিরের আশ্চর্য্য কাৰ্য্য যাঁহারা প্রত্যক্ষ করিয়াছিলেন, বোধ করি তাদৃশ লোক এখনও ২।১ জন জীবিত আছেন। অপর, আত্মাকর্ষক মহাত্মা যিশু যে সকল আশ্চর্য্য ঘটনা দেখাইয়াছিলেন, তাহা বাইবেল-পাঠক মাত্রেই অবগত আছেন। আত্মাকর্ষক মহাত্মা মহম্মদ যে সকল কাৰ্য্য আত্মাকর্ষণ প্রভাবে করিয়াছিলেন, কোরাণ শরিফে ও অন্যান্য গ্রন্থে তৎসমুদায় বিস্তৃতরূপে বর্ণিত আছে। এ সমস্ত যাঁহারা বিশ্বাস না করেন, তাঁহারা পূর্ব্ববঙ্গের ফরিদপুর ও বাকরগঞ্জ জেলায় গমন করুন, শুনিতে পাইবেন, কিয়দ্দিবস পূর্ব্বে ভীষণ রোগাদি হইতে মুক্তিদান-উপলক্ষে আত্মারা কি কি কার্য্য করিয়াছিলেন। সে সমস্ত বিস্তারিতরূপে নির্দেশ করা এ গ্রন্থের উদ্দেশ্য নহে। তথাপি কয়েকটি কাৰ্য্য এই যে, কলিকাতার আহারীটোলা পল্লী নিবাসী ত্রিগুণাচরণ মিত্রকে সত্যধর্মাবলম্বী কোনও আত্মাকর্ষক সাধক দেখাইয়াছিলেন যে, মধুমতী নাম্নী নদীতে ভয়ানক তরঙ্গের সময়ে নৌকা এক পার হইতে অপর পারে যাইবার কালে, তাঁহাদিগের নৌকার চতুষ্পার্শ্বে তরঙ্গ ছিলনা। ঐ সাধক কোনও অর্দ্ধাঙ্গ রোগীর রোগ মুহূর্ত্ত মধ্যে আরাম করিয়া ছিলেন এবং অপরিচিত বহুব্যক্তিকে উপাসনার ও নিদ্রার সময়ে সূক্ষ্ম শরীরে দর্শন দিয়া রোগ মুক্ত করেন। এই সকল বিষয় ঐ সকল ব্যক্তিদিগের কিংবা ঐ সকল ঘটনাভিজ্ঞদিগের দ্বারাই পশ্চাৎ প্রকাশিত হইবে।
হে অবিশ্বাসিগণ! যদি ইহাতেও বিশ্বাস না কর, তবে ঈশ্বরে কিঞ্চিৎ নির্ভর করিয়া অপেক্ষা কর, সত্বরই দেখিতে পাইবে যে, অন্ধ চক্ষু পাইতেছে, পঙ্গু সুস্থ পদ লাভ করিতেছে, বধির শুনিতেছে, বিকলাঙ্গ পূর্ণাঙ্গ হইতেছে এবং মৃত জীবিত হইতেছে। অধিক কি, সর্ব্বদেশের সমস্ত গ্রন্থে যে সকল আশ্চর্য্য ঘটনার উল্লেখ আছে, তৎসমুদয় ও তদপেক্ষা অধিকতর আশ্চর্য্য ঘটনা, এক বঙ্গদেশে-পবিত্র বঙ্গভূমিতে, এককালে সম্পাদিত হইতেছে!!!
ওঁং
পূর্ব্বে যাহা যাহা লিখিত হইয়াছে, তাহাতেই পাঠক জানিতে পারিয়াছেন যে, আত্মাকর্ষণদ্বারা কি কি কাৰ্য্য হইয়াছে ও হইতেছে। তথাপি নিম্নে এরূপ কতকগুলি ঘটনার উল্লেখ করিলাম, যাহাতে সূক্ষ্মজ্ঞানবিহীন ব্যক্তিরাও আত্মাকর্ষণে সম্পাদিত অলৌকিক কার্য্যের বিষয়, বিদিত হইতে পারিবেন।
১মতঃ প্রাচীনকাল ধর, আত্মাকর্ষণদ্বারা মহর্ষি বাল্মীকি রামচন্দ্রের জন্মগ্রহণের বহুবৎসর পূর্ব্বে রামায়ণ রচনা করিয়াছিলেন। আত্মাকর্ষণ দ্বারা মহর্ষি কৃষ্ণ দ্বৈপায়ন, কুরুক্ষেত্র যুদ্ধে নিহত ধার্ত্তরাষ্ট্রগণ প্রভৃতিকে তাহাদিগের আত্মীয়গণের নেত্রগোচর করিয়াছিলেন। এ সকল দূরবর্তী কালের কথা। অল্পকাল হইল, আমেরিকা ও ইংলণ্ডে আত্মাকর্ষণদ্বারা যে সকল অদ্ভুতক্রিয়া সংঘটিত হইয়াছে, তাহার মর্ম্ম অনেকেই জ্ঞাত আছেন। এ সকলও দূর দেশের কথা। আত্মাকর্ষক মোনাই ফকিরের আশ্চর্য্য কাৰ্য্য যাঁহারা প্রত্যক্ষ করিয়াছিলেন, বোধ করি তাদৃশ লোক এখনও ২।১ জন জীবিত আছেন। অপর, আত্মাকর্ষক মহাত্মা যিশু যে সকল আশ্চর্য্য ঘটনা দেখাইয়াছিলেন, তাহা বাইবেল-পাঠক মাত্রেই অবগত আছেন। আত্মাকর্ষক মহাত্মা মহম্মদ যে সকল কাৰ্য্য আত্মাকর্ষণ প্রভাবে করিয়াছিলেন, কোরাণ শরিফে ও অন্যান্য গ্রন্থে তৎসমুদায় বিস্তৃতরূপে বর্ণিত আছে। এ সমস্ত যাঁহারা বিশ্বাস না করেন, তাঁহারা পূর্ব্ববঙ্গের ফরিদপুর ও বাকরগঞ্জ জেলায় গমন করুন, শুনিতে পাইবেন, কিয়দ্দিবস পূর্ব্বে ভীষণ রোগাদি হইতে মুক্তিদান-উপলক্ষে আত্মারা কি কি কার্য্য করিয়াছিলেন। সে সমস্ত বিস্তারিতরূপে নির্দেশ করা এ গ্রন্থের উদ্দেশ্য নহে। তথাপি কয়েকটি কাৰ্য্য এই যে, কলিকাতার আহারীটোলা পল্লী নিবাসী ত্রিগুণাচরণ মিত্রকে সত্যধর্মাবলম্বী কোনও আত্মাকর্ষক সাধক দেখাইয়াছিলেন যে, মধুমতী নাম্নী নদীতে ভয়ানক তরঙ্গের সময়ে নৌকা এক পার হইতে অপর পারে যাইবার কালে, তাঁহাদিগের নৌকার চতুষ্পার্শ্বে তরঙ্গ ছিলনা। ঐ সাধক কোনও অর্দ্ধাঙ্গ রোগীর রোগ মুহূর্ত্ত মধ্যে আরাম করিয়া ছিলেন এবং অপরিচিত বহুব্যক্তিকে উপাসনার ও নিদ্রার সময়ে সূক্ষ্ম শরীরে দর্শন দিয়া রোগ মুক্ত করেন। এই সকল বিষয় ঐ সকল ব্যক্তিদিগের কিংবা ঐ সকল ঘটনাভিজ্ঞদিগের দ্বারাই পশ্চাৎ প্রকাশিত হইবে।
হে অবিশ্বাসিগণ! যদি ইহাতেও বিশ্বাস না কর, তবে ঈশ্বরে কিঞ্চিৎ নির্ভর করিয়া অপেক্ষা কর, সত্বরই দেখিতে পাইবে যে, অন্ধ চক্ষু পাইতেছে, পঙ্গু সুস্থ পদ লাভ করিতেছে, বধির শুনিতেছে, বিকলাঙ্গ পূর্ণাঙ্গ হইতেছে এবং মৃত জীবিত হইতেছে। অধিক কি, সর্ব্বদেশের সমস্ত গ্রন্থে যে সকল আশ্চর্য্য ঘটনার উল্লেখ আছে, তৎসমুদয় ও তদপেক্ষা অধিকতর আশ্চর্য্য ঘটনা, এক বঙ্গদেশে-পবিত্র বঙ্গভূমিতে, এককালে সম্পাদিত হইতেছে!!!
ওঁং
উৎস---সত্যধর্ম্ম বই
0 মন্তব্যসমূহ