যিনি নিম্নলিখিত গুণসম্পন্ন, তিনি গুরু হইতে পারেন।
১) সর্ব্বশাস্ত্রপর- অর্থাৎ, সাধারণত কেহ সাহিত্যে,কেহ বা গণিত শাস্ত্রে অনুরাগী হয়, কিন্তু যিনি পরস্পর বিপরীত শাস্ত্র সমূহে অনুরাগী।
২) দক্ষ-ঐসকল শাস্ত্রে ও নানাবিধ ধর্ম্ম-কর্ম্মে সুনিপুণ।
৩) সদা সর্ব্বশাস্ত্রার্থবিৎ- সকল সময়েই উল্লিখিত শাস্ত্রসমূহের প্রকৃতার্থ পরিজ্ঞাতা।
৪) সুবচাঃ- উৎকৃষ্ট বাক্য বিন্যাসে সমর্থ, অর্থাৎ সত্য ও প্রিয় এরূপ বাক্য বলিতে পারেন যে তাহাতে শ্রোতার হৃদয় বিগলিত হয়।
৫) সুন্দর - অর্থাৎ,প্রেমময় অবস্থার পরাকাষ্ঠা প্রাপ্ত।
৬) স্বচ্ছ - বিকার শূন্য ও সরল অন্তঃকরণ।
৭) কুলীন- জীবতত্ত্ব, প্রকৃতিতত্ত্ব, দিক্, কাল ও পঞ্চভূত , -- এই সকল বিষয়ে জ্ঞান সম্পন্ন।
৮) শুভদর্শন- জগতের মঙ্গল সাধন জ্ঞান বিশিষ্ট।
৯) জিতেন্দ্রিয়- কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ, মদ ও মাৎসর্য্য এই ছয়টি যাহার বশীভূত।
১০) সত্যবাদী- নিরন্তর সত্যভাষী।
১১) ব্রাহ্মণ- ব্রহ্মজ্ঞ, ব্রহ্মদর্শী।
১২) শান্তমানস- স্হির-চিত্ত।
১৩) মাতাপিতৃহিতে যুক্ত - নিরন্তর মাতার ও পিতার হিত সাধনে রত।
১৪) সর্ব্ব কর্ম্ম পরায়ণ- প্রয়োজনীয় কার্য্য মাত্রেই রত।
১৫) আশ্রমী- প্রধান আশ্রম অর্থাৎ গৃহস্হাশ্রমে স্হিত, অথবা, তাঁহার হৃদয়ে সতত ঈশ্বর বিরাজমান।
১৬) দেশবাসী- দেশ অর্থাৎ ভূমির অংশ বিশেষে অবস্থানকারী, অর্থাৎ স্থূল দেহধারী।
*** ১) প্রেম, ২) সরলতা, ৩) পবিত্রতা, ৪) একাগ্রতা, ৫) ভক্তি ৬) ঈশ্বরজ্ঞান আছে এবং যাঁহার মন কুপথে গমন করে না, পারলৌকিক মহাত্মাগণ তাঁহাকে আশ্রয় করিতে স্ব স্ব মন্তব্য জানাইতে পারেন। উপরিউক্ত গুণগুলি অধিক পরিমাণে হইয়াছে এবং নিম্নলিখিত গুণগুলিও আছে, পারলৌকিক মহাত্মারা তাঁহাকেই আশ্রয় করিয়া থাকেন।
গুণ যথা---
১৭)---সম্পত্তি বিষয়ে নিস্পৃহতা।
১৮)---নিষ্পাপ অবস্থা বা মূর্ত্তমতী পবিত্রতা।
১৯)---অন্যদীয় পাপগ্রহণ ক্ষমতা।
২০)---লোকের উপকার ভিন্ন অপকার করিব না,এই বিষয়ে দৃঢ়-নিশ্চয়তা।
২১)---সিদ্ধি সমূহ লাভের উপযুক্ত গুণ।
২২)---কাম-ক্রোধহীনতা।
২৩)---অন্ততঃ সমস্ত মনুষ্যকে সহোদরবৎ দর্শন ও তদনুরূপ আচরণ করা। ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি।
বিঃ দ্রঃ- পারলৌকিক মহাত্মাদিগের দ্বারা যাহা জানা যাইতেছে, তাহা সত্য, সত্য, সত্য !!! সুতরাং সত্যধর্ম্ম যে প্রকৃতপক্ষে সর্বাঙ্গবিশুদ্ধ ও সত্য,তদ্বিষয়ে আর কোন সন্দেহ নাই !!!
🙏 ঈশ্বর গুরুনাথ এবং পারলৌকিক মহাত্মাগণ কতৃক প্রকাশিত (সত্যধর্ম্ম বইয়ে) গুরুতত্ত্ব।
উপরিউক্ত গুণাবলীর অধিকারী মহাত্মা সত্যধর্ম্মে আদিষ্ট হতে পারেন। গুরু হতে গেলে সত্যধর্ম্ম বইয়ের পঞ্চম পরিচ্ছেদে সিদ্ধি বিবরণী অংশে বর্ণিত কয়েক প্রকার সিদ্ধি।
সাধনার ফলকে সিদ্ধি বলা হয় -
* আত্মাকর্ষণ, * অন্যের পাপগ্রহণশক্তি, * বাকসিদ্ধি, * গুটিকাসিদ্ধি, * কীর্তি সিদ্ধি, * অমৃতসিদ্ধি,
* অমূলসিদ্ধি, * আয়ু-প্রদান-শক্তি ।
সত্যধর্ম্মে গুরু হতে গেলে এই সকল গুণ অর্জন করতে হয়। যিনি এই ধর্ম্মের আবিষ্কারক তার এই সকল গুণগুলি ছিল যার প্রমাণ আমরা গুরু লিপিতে পাই। গুরুদেব চিঠির মাধ্যমে এই সকল সিদ্ধি গুলির প্রমাণ রেখেছেন বর্তমানে যিনি সত্য প্রতিষ্ঠার কাজে আদিষ্ট হয়েছেন তিনি আগে থেকে লিখিত কথা দিয়ে এবং টেলিগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ, ফোন কল, ইত্যাদির মাধ্যমে দীক্ষিত ব্যাক্তিদের যারা কিনা একটু উপাসনা এবং সাধনা করেছে তাদের আশির্বাদ করেছেন। তার প্রমাণ তারা দিন তারিখ উল্লেখ করে লিপিবদ্ধ করেছে। উৎসবে অনুষ্ঠিত উৎসবের লাইভে বিস্তারিত বলেছে। এই বিশেষ সিদ্ধির ফলে গুরু আমাদের শারিরীক, মানসিক এবং আধ্যাত্মিক তিন প্রকার রোগ থেকে মুক্তি দিতে পারেন। আমাদের ইহলোক এবং পরলোকে সুখে থাকার জন্য এই তিন প্রকার ব্যাধি থেকে মুক্ত হওয়া আবশ্যক।
0 মন্তব্যসমূহ