ভক্তি কোমল মিশ্র গুণ, প্রেমের সীমাবদ্ধ ভাবকে ভক্তি বলা হয়। ভয়ে ভয়ে ভালোবাসাকে ভক্তি বলা হয়। নিজের স্বার্থের জন্য অপরের ওপর যে নির্ভরতা, বিশ্বাস এবং উপকৃত হওয়ার পর যে কৃতজ্ঞতা ও অনুরাগ তাকে ভক্তি বলা হয়।
সত্যধর্ম্মের আবিষ্কারক ঈশ্বর গুরুনাথ কোটি কোটি মানুষের উদ্ধারের পর আবিষ্কার করেছেন। এই সত্যের পথ আর কেউ দেখায়নি, দেখানোর সাধ্যও নেই। যে পদ্ধতিতে আমরা প্রকৃত সুখি হতে পারব,মানব জন্মের মূল উদ্দেশ্য গুণ অর্জন সেই গুণ অর্জনের উপায় একমাত্র সত্যধর্ম্ম লিপিবদ্ধ আছে। তার প্রতি কৃতজ্ঞতা হিসেবে আমরা যদি নিজেদের মানুষ তৈরি না করতে পারি তবে এই জন্ম বৃথা। সত্য মনুষ্যত্বের পরিচয় বহন করে।
গুরু ভক্তি বলতে বোঝায় গুরুবাক্য অক্ষরে অক্ষরে পালন করা। তিনি কেমন আমাদের সকল প্রকার মঙ্গল চান। আমাদের আত্মোন্নতির জন্য তিনি নিজেকে উৎসর্গ করেছেন।
আমরা সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ গুরুর প্রতি কতটুকু কৃতজ্ঞ হতে পারছি ? সমদর্শন সাধনা গুরু ভক্তির নামান্তর মাত্র। সাধনার প্রথম সোপান। এই একটি সিঁড়ি অতিক্রম করলে গুরুর গুণাবলী কিছুটা জানা যায়। একত্ব না পাওয়া পর্যন্ত গুরুর প্রতি ভক্তি, বিশ্বাস হয় না। গুরু যে গুণে একত্ব পেয়েছেন অর্থাৎ পরমপিতার দর্শন লা মে নানভ করেছেন সেই গুণে একত্ব পেলে গুরুকে ভক্তি করা হবে।
কাম, ক্রোধ,লোভ,মদ, মাৎসর্য্য ইত্যাদিকে নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে গুরু ভক্তি করা যায় না।কারন অষ্টপাশ ষড়রিপুর ফলে ভুল হতে থাকে।
0 মন্তব্যসমূহ