যে গুণ কোমল মাতৃ প্রেমে আচ্ছন্ন তাকেই মমতা বলে। গুরুদেব যে কতোটা সচেতন কতো সুন্দর ভাবে সত্য কথা বলে গেছেন। তিনি নিজেকে পাশবদ্ধ পশু বলেছেন । এই সৃষ্টি জগতে এই রকম কোনো মহাত্মা নেই যিনি এরকম সত্য বলতে পারেন।
একটি গানে আছে "এ যে মা গো পির্তৃ রাজ্য না হতে পিতার ত্যাজ্য" এই সমাজ টা" মা "কিন্ত আমরা বাবা বানিয়ে বসে আছি। তুমি কৃপা করো মা আমি যেন মা বলে ডাকতে পারি আমার মধ্যে মমত্ত্ব বোধ নেই।
যিনি আদিষ্ট তাঁর মধ্যে যদি মমত্ত্ববোধ না থাকে তাহলে তিনি মানুষ করবে কি করে দেবত্ত্ব ও ঈশ্বরত্ত্ব করবে কি করে?? তাই আর্জি জানাচ্ছে মমত্ত্ব বোধ জাগ্ৰত করো মা।
জলের ভিতরে পদ্ম থাকে পদ্মের গায়ে জল লাগে না।তাই নিজেকে পবিত্র করতে হয় ঐ নোংরার ভিতরেও থাকলে। তাহলে নিজেকে গুণ দ্বারা পবিত্র করতে হবে। একবার যদি পবিত্র হওয়া যায় শত চেষ্টা করেও কেউ তাকে অপবিত্র করতে পারবে না। প্রেমের সাধনা কঠোর কমল হবে ,কোমল কঠোর হবে। অতি কঠোর ও অতি কোমল হলে সর্বনাশ হয় ।প্রেম প্রবন্ধে লেখা আছে কিভাবে সাধনা করতে হয়।
একটি নারি পুরষের বিবাহের মূল উদ্দেশ্য প্রেম সাধন। দুজন দুজনার গুণ চিনতে না পারলে গুরুর স্মরণাপন্ন হতে হয়। কার কোন গুণ বেশি তিনি বলে দেবেন। সেই গুণকে দুজনে শ্রদ্ধা ও সম্মান করবে ঐ গুণ দ্বারা সমস্ত গুণ হবে। কোনগুণ দ্বারা সাধনা করতে হবে গুরু বলে দেবেন।
প্রকৃত দীক্ষিত না হলে সত্যধর্ম্মী হওয়া যায় না। আবার দীক্ষিত হলেই যে প্রকৃত ভাবে উপাসনা করছে তা নয় । গুরুদেব বলেছেন প্রত্যেকটি সংসার তীর্থভূমিতে পরিণত করতে হবে। সর্বক্ষণ পরমপিতার উপাসনা চলবে।
একটি সন্তান জন্মানোর পরে তাকে সম্মান করতে হয়। তার সামনে খারাপ আচরণ করতে নেই । তাকে ভয় পেলে সে পিতা ,মাতাকে সম্মান করতে পারবে। স্বামি স্ত্রীর তীর্যক নয়নে তাকানো সেটাও যেন ঐ শিশু টি না দেখে ঐ রকম সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। ঐ শিশু টিকে সম্মান করতে পারলেই ও সবাইকে সস্মান করতে পারবে।সম্মান বলতে কি বোঝায়?সম্মান হচ্ছে ঐ শিশুটির গুণের সম্মান করতে হবে। কারণ সে অনেক গুলো জন্ম পার করে এসেছে। এই জন্মে তাকে ছোট দেখছি কিন্তু সে পূর্ব পূর্ব জন্মে অনেক বড়ো ছিল। একজন উন্নত মহাপুরুষ এক জন্মেই উন্নত হয় না বহু বহু জন্মের তপস্যার ফল একটি পরমোন্নত সাধক তৈরি হয়। ঐ শিশুটি আসার পরেই আমরা বুঝতে পারি আমরা কিভাবে মা হবো ,বাবা হবো ওর কাছ থেকেই শিক্ষা পাই। ঐ শিশুটিকে শ্রদ্ধা করলে আমরা সম্মান পাবো কিন্ত আমাদের মধ্যে , আমি মা , আমি বাবা এই অহংকার বন্ধ করতে হবে। আমরা নিজেরাই শিখতে পারছি না বলে ও শিখতে পারছে না আদর্শ হয়ে উঠতে পারছে না।বাড়িতে অবহেলায় সাধক সাধিকা তৈরি করতে বলছেন নাহলে বয়স বাড়লে যন্ত্রনা পেতে হবে। সাধক সাধিকা তৈরি হলেই আর কোনো চিন্তা করার দরকার নেই। প্রয়োজনে গণ্ডির ভিতরে আটকে রাখতে হবে উন্নতি হওয়ার পরেই ছেড়ে দিতে হবে তাহলে সে একজন উন্নত সাধক সাধিকা হয়ে উঠবে।
0 মন্তব্যসমূহ