ইহলোকে নারীগণ দীক্ষা কার্য্য করিতে পারে না।
সত্যধর্ম্ম পারলৌকিক ধর্ম্ম, ইহলোকে যেমন নিয়ম আছে তেমনিটি পরলোকে নাই। পারলৌকিক মহাত্মাদিগের নিকট হইতে আমারা এই ধর্ম্ম প্রাপ্ত হইয়াছি। সুতরাং তাহারাই এই ধর্ম্মের প্রচারক। পারলোকে স্ত্রীজাতি ও পুরুষজাতি বলিয়া কিছু নাই, সেখানে কোমল আত্মা ও কঠোর আত্মা হইয়া থাকে। অতি উন্নত কোমল মহাত্মাগণ পরমপিতার নিকট হইতে আদেশ প্রাপ্ত হইয়া, পরলোক হইতে ইহলোকে দীক্ষা কার্য্য করিতে পারেন । এবং তাহা ১৮৮৫-র ২০ অক্টোবরের পূব্বে ও ইহলোকে অনেকেই দীক্ষা প্রাপ্ত হইয়াছেন। তাঁহাদের গুরু মহাত্মা গুরুনাথ নহেন। ইহলোকে সত্যধর্ম্মে আদিষ্ট সাধক হওয়ার পর আর কোন কোমল মহাত্মা এ কার্য্য করেন নাই।
মহাত্মা গুরুনাথ এ বিষয়ে গুরুতত্ত্বে বলেছেন কিরূপ গুরুর নিকটে কদাচ দীক্ষা গ্রহণ করিবে না, বলিতে গিয়া বলিয়াছিলেন যে,"দুর্ভাগ্যক্রমে যদি কোনও ব্যক্তি স্ত্রীলোকের নিকটে গ্রহন করে, তবে উক্ত দীক্ষা প্রকৃত না হওয়াতে, অন্য উপযুক্ত গুরুর নিকটে উক্ত দীক্ষা বীজের সংস্কার করাইবে।" সত্যধর্ম্মের নীতিনুযায়ী গুরুদেব নিজ মুখে বলিবার পর কি, কাহাকেও পুনরায় আদেশ দিতে পারেন? নিশ্চয় না। কোন মহিলা যদি দাবি করেন যে, গুরুদেবের আদেশে আমি দীক্ষা কার্য্য করিতেছি, অথবা আমি গুরু হইয়া কার্য্য করি নাই, তথাপি সত্যধর্ম্মের নীতিনুযায়ী তাহা হইতে পারে না। নীচে বিস্তারিত জানানো যাইতেছে। গুরুদেব এক স্থানে যাহা প্রকাশ করিয়াছেন, ঐ বিষয়ে অন্য স্থানে বিপরীত রূপে প্রকাশ করেন নাই।
সত্যধর্ম্মে আদিষ্ট সাধক হইতে হইলে, বিশেষ ভাবে সর্ব্ব প্রথম ১৩টি গুণের প্রয়োজন। "(১) প্রেম, (২) সরলতা, (৩) পবিত্রতা, (৪) একাগ্রতা, ভক্তি ও ঈশ্বরজ্ঞান আছে এবং (৬) যাহার মন কুপথে গমন করে না, (৭) সম্পত্তি বিষয়ে নিস্পৃহতা, (৮) নিস্পাপ অবস্থা বা মূর্তিমতী পবিত্রতা, (৯) অন্যদীয় পাপগ্রহণ ক্ষমতা, (১০) লোকের উপকার ভিন্ন অপকার করিব না, এই বিষয়ে দৃঢ়নিশ্চয়তা, (১১) সিদ্ধিসমূহ লাভের উপযুক্ত গুণ, (১২) কাম-ক্রোধহীনতা ও (১৩) অন্ততঃ সমস্ত মনুষ্যকে সহোদরবৎ দর্শন ও তদনুরূপ আচরণ করা ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি।"
অর্থাৎ আরও বহু গুণে বিভূষিত। সিদ্ধিসমূহের মধ্যে আত্মা কর্ষন শক্তি একটি মহান গুণ যেমন," যে নারীগণ পরান্নভোজিনী, বিধবা, বিশেষতঃ পতিনিন্দা পরায়ণা, পতি হইতে দূরে থাকে, এই পরমাশক্তি তাদের মধ্যে কখনও বিদ্যমান থাকে না।।" (গুরুদেব লিখিত সত্যধর্ম্মের পঞ্চম পরিচ্ছেদে দ্রষ্টব্য)। তাহা হইলে কি করিয়া গুরুদেব আদেশ করিতে পারেন ??
অর্থাৎ আরও বহু গুণে বিভূষিত। সিদ্ধিসমূহের মধ্যে আত্মা কর্ষন শক্তি একটি মহান গুণ যেমন," যে নারীগণ পরান্নভোজিনী, বিধবা, বিশেষতঃ পতিনিন্দা পরায়ণা, পতি হইতে দূরে থাকে, এই পরমাশক্তি তাদের মধ্যে কখনও বিদ্যমান থাকে না।।" (গুরুদেব লিখিত সত্যধর্ম্মের পঞ্চম পরিচ্ছেদে দ্রষ্টব্য)। তাহা হইলে কি করিয়া গুরুদেব আদেশ করিতে পারেন ??
ইহজগতে যে ব্যক্তি দীক্ষা কার্য্য করিবে, তাহাকে চক্রের বীজ অবস্থানের গুণাগুণ নির্ণয় করিতে হয়। কেননা, দীক্ষিত ব্যক্তির চক্র ভেদে গুণাগুণ নির্ণয় করিয়াই বীজ নির্ধারন করিতে হয়। সত্যধর্ম্মে একই বীজে সকলের দীক্ষা হয় না। চক্র সাধনায় নারীদের অধিকার নাই। এই অবস্থায় চক্রের বীজ অবস্থানের গুণাগুণ নির্ণয় কি ভাবে করিবে? নারীরা চক্রভেদ সাধনা না করিতে পারিলেও সহায়ক হইয়া থাকেন। একত্ব প্রাপ্ত হইলেই যে চক্রভেদ সাধনা হইয়া থাকে তাহা নহে । একত্বপ্রাপ্তিরাই চক্র সাধনা করিতে পারে।
সাধারণ মানুষের মনে হইতে পারে, নারীদের ইহলোকে সন্মান লঙ্ঘিত হইতেছে; কেননা নারীদের ইহলোকে সত্যের নিয়মে অর্থাৎ সত্যধর্ম্মে দীক্ষা দেবার অধিকার নাই। পূর্ব্বেই বলিয়াছি ইঁহা পারলৌকিকধর্ম্ম। "দীক্ষা একটি পরমজন্ম, এই জন্মের পিতা গুরু, মাতা বাহ্য জগতের অভিজ্ঞতা ( বিশিষ্ট জ্ঞান ), শ্রদ্ধা তাহাদিগের প্রকৃতপ্রেম, শুক্র প্রণবযুক্ত বীজ তখনই , ইহ জগতের নিয়ম অনুযায়ী পুরুষগণই যে , বীজ ধারক ।
পরমপিতার নিয়মে ইহলোক প্রবেশ করিবার জন্য যেমন মাতা ও পিতার মাধ্যম হইতে আসিতে হয় , তেমনই পরমপিতার রাজ্যে প্রবেশ করিতে হইলে দীক্ষারূপ পরমজন্মের মাধ্যমে পিতারূপ গুরু ও মাতারূপ বিশিষ্ট জ্ঞানের মাধ্যমেই যাইতে হয়। ইহ জন্মে যেমন মাতৃ মমতার অবদান অধিক, তেমনি দীক্ষারূপ পরমজন্মে মাতা বাহ্য জগতের অভিজ্ঞতাও তদনুরূপ; কেননা , বিশিষ্ট জ্ঞানের মাধ্যমেই আমরা গুরুদেবকে চিনিতে পারি এবং ধর্মের প্রকৃত ভাব বুঝিতে পারি । প্রকৃত জ্ঞান না হইলে ধর্ম্ম পথে চলিয়া পরম উন্নতি লাভ করা অসম্ভব।
গুরুদেবের আদেশ পথে চলিয়া পরম উন্নতি লাভ করিতে সমর্থ হইতে পারি, এই জ্ঞানই সাধকদের লালিত করে । সত্যধর্ম্মের দর্শন, ইহ জগতের ভাবরূপ অবস্থানকে অতি তুচ্ছ বোধ করে। " গুরু যাহা যখন আদেশ করিবেন, তখনই তাহা করিবে । তাহাতে দোষগুন বিচার করিও না। এ জগতে যাহাকে লোকে অতি পবিত্র কার্য্য ভাবে, গুরু যদি তাহাও নিষেধ করেন, তবে তাহাও করিবে না। আর লোকে যাহাকে ঘোর পাপ বলেন, তাহাও অম্লান বদনে প্রফুল্ল মুখে করিবে। ভক্ত শিষ্যের নিকটে গুরুর আদেশ পালনই পুণ্য এবং গুরুর আদেশ লঙ্ঘনই পাপ। ইহা ভিন্ন পাপ পুণ্য নাই। কেননা প্রকৃত জ্ঞান নাহইলে গুরু কি বলিতেছেন তাহা তখন সঠিক ভাবে বোঝা যায় না।
প্রকৃত গুরুর আদেশ মত কাজ করিতে পারিলে পরম উন্নতি লাভ করা সম্ভব। ইহলোকেই সাধারণ গনের জন্য এক নিয়ম ও উন্নত গনের জন্য পৃথক নিয়ম, ইহাই পার্থক্য । আবার কোমল আত্মা দীক্ষা দিলে তাহাকে "গুরু" বলা যায় না, তাহাকে "গুরুমা" বলিতে হয়। গুরু শব্দের অর্থ মুখ্য বা প্রধান। "গুরু" শব্দটি একক অর্থে মুখ্য পুং বাচক, গুরুর সহিত মা যুক্ত করিয়া "গুরুমা" শব্দটী মুখ্য স্ত্রী বাচক। এইমর্ম্মে মাহাত্ম আদরমনি দেবীকে গুরুমা বলিতে পারি না, তিনি গুরুমা হইয়া দীক্ষা দেন নাই । তাই গুরুমা বলিলে পাপ হয়। গুরুদেব মাহাত্ম আদরমনি দেবীকে কি বলিয়া ডাকিতে হইবে, তাহা বলিয়া গিয়াছেন, যেমন "মাতা ঠাকুরানী", "মা ঠাকুরানী ", " মাতা", ও "মা" ( এই বিষয় "গুরুলিপি" ও "গুরু শিষ্য ও দীক্ষা" নামক গ্রন্থ অধ্যয়ন করুন)।
সাধারণ মানুষের মনে হইতে পারে, নারীদের ইহলোকে সন্মান লঙ্ঘিত হইতেছে; কেননা নারীদের ইহলোকে সত্যের নিয়মে অর্থাৎ সত্যধর্ম্মে দীক্ষা দেবার অধিকার নাই। পূর্ব্বেই বলিয়াছি ইঁহা পারলৌকিকধর্ম্ম। "দীক্ষা একটি পরমজন্ম, এই জন্মের পিতা গুরু, মাতা বাহ্য জগতের অভিজ্ঞতা ( বিশিষ্ট জ্ঞান ), শ্রদ্ধা তাহাদিগের প্রকৃতপ্রেম, শুক্র প্রণবযুক্ত বীজ তখনই , ইহ জগতের নিয়ম অনুযায়ী পুরুষগণই যে , বীজ ধারক ।
পরমপিতার নিয়মে ইহলোক প্রবেশ করিবার জন্য যেমন মাতা ও পিতার মাধ্যম হইতে আসিতে হয় , তেমনই পরমপিতার রাজ্যে প্রবেশ করিতে হইলে দীক্ষারূপ পরমজন্মের মাধ্যমে পিতারূপ গুরু ও মাতারূপ বিশিষ্ট জ্ঞানের মাধ্যমেই যাইতে হয়। ইহ জন্মে যেমন মাতৃ মমতার অবদান অধিক, তেমনি দীক্ষারূপ পরমজন্মে মাতা বাহ্য জগতের অভিজ্ঞতাও তদনুরূপ; কেননা , বিশিষ্ট জ্ঞানের মাধ্যমেই আমরা গুরুদেবকে চিনিতে পারি এবং ধর্মের প্রকৃত ভাব বুঝিতে পারি । প্রকৃত জ্ঞান না হইলে ধর্ম্ম পথে চলিয়া পরম উন্নতি লাভ করা অসম্ভব।
গুরুদেবের আদেশ পথে চলিয়া পরম উন্নতি লাভ করিতে সমর্থ হইতে পারি, এই জ্ঞানই সাধকদের লালিত করে । সত্যধর্ম্মের দর্শন, ইহ জগতের ভাবরূপ অবস্থানকে অতি তুচ্ছ বোধ করে। " গুরু যাহা যখন আদেশ করিবেন, তখনই তাহা করিবে । তাহাতে দোষগুন বিচার করিও না। এ জগতে যাহাকে লোকে অতি পবিত্র কার্য্য ভাবে, গুরু যদি তাহাও নিষেধ করেন, তবে তাহাও করিবে না। আর লোকে যাহাকে ঘোর পাপ বলেন, তাহাও অম্লান বদনে প্রফুল্ল মুখে করিবে। ভক্ত শিষ্যের নিকটে গুরুর আদেশ পালনই পুণ্য এবং গুরুর আদেশ লঙ্ঘনই পাপ। ইহা ভিন্ন পাপ পুণ্য নাই। কেননা প্রকৃত জ্ঞান নাহইলে গুরু কি বলিতেছেন তাহা তখন সঠিক ভাবে বোঝা যায় না।
প্রকৃত গুরুর আদেশ মত কাজ করিতে পারিলে পরম উন্নতি লাভ করা সম্ভব। ইহলোকেই সাধারণ গনের জন্য এক নিয়ম ও উন্নত গনের জন্য পৃথক নিয়ম, ইহাই পার্থক্য । আবার কোমল আত্মা দীক্ষা দিলে তাহাকে "গুরু" বলা যায় না, তাহাকে "গুরুমা" বলিতে হয়। গুরু শব্দের অর্থ মুখ্য বা প্রধান। "গুরু" শব্দটি একক অর্থে মুখ্য পুং বাচক, গুরুর সহিত মা যুক্ত করিয়া "গুরুমা" শব্দটী মুখ্য স্ত্রী বাচক। এইমর্ম্মে মাহাত্ম আদরমনি দেবীকে গুরুমা বলিতে পারি না, তিনি গুরুমা হইয়া দীক্ষা দেন নাই । তাই গুরুমা বলিলে পাপ হয়। গুরুদেব মাহাত্ম আদরমনি দেবীকে কি বলিয়া ডাকিতে হইবে, তাহা বলিয়া গিয়াছেন, যেমন "মাতা ঠাকুরানী", "মা ঠাকুরানী ", " মাতা", ও "মা" ( এই বিষয় "গুরুলিপি" ও "গুরু শিষ্য ও দীক্ষা" নামক গ্রন্থ অধ্যয়ন করুন)।
কেহ যদি এই দুর্ব্বিসহ পাপময় অবস্তায় পতিত হইয়া থাকেন, তাহা হইলে ব্যাকুল অন্তঃকরনে প্রার্থনা দ্বারা এই পাপ হইতে মুক্তি লাভ করিয়া লইবেন। সত্যধর্মের যাবতীয় গ্রন্থ অধ্যান করিলে কিছুটা হইলেও বুঝিতে পারিবেন। কেননা প্রকৃত ধর্ম্মের তত্ত্ব বুঝিতে হইলে সাধনা ও উপাসনা দ্বারা উন্নতি হইলে, যে যে সিদ্ধি উপনীত হইবে, তাহা সবই ত্যাগ করিতে হয়, তাহা হইলে তত্ত্বজ্ঞান জন্মে (মুক্তি জিজ্ঞাসায় দেখিয়া লইবেন)।
সত্যধর্ম্মের নারীরা দীক্ষা কার্য্য না করিতে পারিলেও ব্রহ্মদর্শন হইবে না ইহা নহে ! নিশ্চয় হইবে, এবং ইহা পূর্ব্বেও হইয়াছে । ১৩টি গুনবিশিষ্ট হইলেই সম্ভব । ব্রহ্মদর্শন করিয়াছেন এমন কয়েকজন নারীর নাম প্রকাশ করিতেছি, যেমন মহাত্মা বিশ্বময়ী দেবী, মহাত্মা সীতা দেবী , মহাত্মা আদারমনি দেবী , মহাত্মা ম ( মঙ্গলাময়ী ) দেবী, মহাত্মা কালি দেবী ও ইত্যাদি ইত্যাদি।
- আদিষ্ট নিরুপম।
0 মন্তব্যসমূহ