ধৈর্য্য ও ক্ষমা জীবনের ব্রত।



     ধৈর্য্য ও ক্ষমা জীবনের ব্রত রূপে পালন করিতে হয়।

     ধৈর্য্য ধারণ পূর্ব্বক কার্য্য করিলে সাফল্য আসিবে। সত্যে অবিচল রহিয়া তাহা দৃঢ়তার সহিত করিলেই ফল প্রাপ্তি ঘটে। আর গুরু বাক্য গ্রহণ পূর্ব্বক কার্য্য করিলে ফল শিঘ্রই উপস্থিত হয়। তাঁহার বাক্য অনুরূপ কার্য্য না হইলে, তাহা শিকার করিয়া লইতে হয়, তাহা হইলে তিনি ক্ষমা করিয়া দেন। 

    ক্ষমা গুণে তৃপ্তি ও শান্তি জন্মে। ক্ষমা করিতে পারিলে গ্লানি দূরিভূত হয় এবং ধৈর্য্য গুণের বৃদ্ধি লক্ষিত হয়। ক্ষমা আনন্দ ভাবের বর্ধন করে। ক্ষমা গুণে উভয়ের শান্তি, স্বস্তি বৃদ্ধি করিয়া মনে নব আনন্দ রসময়ের উদয় হয় এবং নব ভাবে কার্য্যে মনোনিবেশ হয়। ক্ষমা জীবনের পরম ধর্ম্ম করিতে হয়, তাহা হইলেই অপর মনে পরিধি বৃদ্ধি পূর্ব্বক বিশ্বাস গুণের আভাস আইসে।