গুরুস্বীকার না করিলে বহু দোষ সমুৎপন্ন হয়।



ভক্তি ব্যাঘাত।

   ১) জ্ঞানপূর্ব্বক ভক্তিভাজনের অভিমত কার্য্য সম্পাদন না করিলে, ভক্তির হ্রাস হয়। এই কারণবশতঃ, মাতাপিতার শুশ্রূষা না করিলে, তাঁহাদিগের ক্লেশ-নিবারণার্থে যথাসাধ্য চেষ্টা বাদ না থাকিলে এবং পরলোকগত মাতাপিতার উন্নতির নিমিত্ত আবশ্যকমত প্রার্থনা না করিলে, ভক্তির হ্রাস হয়।

   ২) ভক্তিভাজনে অবিশ্বাস দ্বারা ভক্তির হ্রাস হয়। কারণ তাঁহাকে বিশ্বাস বা প্রত্যয় না করা যায়, তাহার প্রতি স্নহব্যতীত অন্য কোন সদ্ভাব হইবার সম্ভাবনা নাই। 

   ৩) দোষানুশীলন, ৪) স্বার্থপরতা--এই উভয়ের বিবরণ "ভক্তির উৎপত্তির ব্যাঘাত" অংশে লিখিত হইয়াছে।

   ৫) ভক্তিভাজনের স্নেহে বঞ্চিত হওয়া--দুর্ভগ্যক্রমে যদি ভক্তিভাজন স্নেহ না করেন, তাহা হইলেও ভক্তির হ্রাস হইবার সম্ভাবনা। স্নেহ-বারি-সেক লাভব্যতীত ভক্তির তার উৎপত্তি ও বৃদ্ধি বড়ই সুকঠিন।

   ৬) কৃতজ্ঞতা লঘুতর হইলেও ভক্তির হ্রাস হয়।

   ৭) এতদ্ভিন্ন করুণারস, মমতা প্রভৃতির হীনতায় ও ভক্তির হ্রাস হইয়া থাকে। মূলকথা, হৃদয়ের উন্নতি অনুসারে যেমন ভক্তি বৃদ্ধি হয়, তদ্রূপ হৃদয়ের অবনতি-তনুসারে, ভক্তির হ্রাস ও হয়।

                                                      -ঈশ্বর গুরুনাথ।