
আত্মার আধার গুণ
গুণকীর্ত্তনই উপাসনার সর্ব্বপ্রধান অংশ। যখন পরমপিতার অনন্ত গুণরাশি কীর্ত্তন করিতে করিতে স্বকীয় ক্ষুদ্রতা, মলিনতা ও অভাব হৃদয়ঙ্গম হইতে থাকে, তখনই ঘোরতর আত্মগ্লানি উপস্থিত হয়। ঐ আত্মগ্লানি-প্রভাবে ক্ষুদ্রতা দূরীভূত, মালিন্য তিরোহিত এবং অভাবের অভাব-সহকারে প্রকৃত ভাবে আবির্ভূত হইতে থাকে। যেমন প্রজ্বলিত বহ্নিতে খাদযুক্ত সুবর্ণ দগ্ধ করিলে উহার আসার খাদভাগ দূরীভূত হইয়া যায় এবং বিশুদ্ধ সুবর্ণমাত্র অবশিষ্ট থাকে, তদ্রূপ আত্মগ্লানি-দহনে দগ্ধ জীবের পশুভাব ও তজ্জন্য মালিনতা দূরিভূত হইয়া যাওয়াতে প্রথমে মানবভাব ও পরিশেষে দেবভাব উপস্থিত হয়। সুতরাং গুণকীর্ত্তন করাই সর্ব্বপ্রধান কার্য্য।