আমরা প্রেমের শৃঙ্খলে আবদ্ধ কিন্তু প্রেমিক নই।
১) অমৃত ২) আনন্দ ৩) আশীর্ব্বাদ ৪) একাগ্রতা ৫) করুণা ৬) কৃপা ৭) ক্রোমোন্নতি ৮) ক্ষমা ৯) গুণকীর্ত্তন ১০) জ্ঞান ১১) চৈতন্য ১২) জপ ১৩) দয়া ১৪) দৃঢ়তা ১৫) ধ্যান ১৬) নন্দন ১৭) নির্ভরতা ১৮) নির্ম্মল ১৯) নিরাময় ২০) পবিত্রতা ২১) প্রেম ২২) বিশ্বাস ২৩) ভক্তি ২৪) মমতা ২৫) মঙ্গল ২৬) শান্তি ২৭) শ্রদ্ধা ২৮) সত্য ২৯) সহনশীলতা ৩০) সরলতা ৩১) সুন্দর।
"তত্ত্বজ্ঞান প্রথম খন্ড-উপাসনা" গ্রন্থে সত্যধর্ম্মের আবিষ্কারক ঈশ্বর গুরুনাথ উপাসনার পদ্ধতি লিপিবদ্ধ করেছেন। গুণ অর্জনের এই সূত্র অনুসারে বর্তমান আদিষ্ট ঈশ্বর নিরুপম মোট ৩২ টি গুণের উপাসনা মালা তৈরি করেছেন। প্রতিটি গুণের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী পৃথক পৃথক গান দ্বারা সেই গুণ অর্জনের উপায়কে উৎকৃষ্ট করেছেন। উপাসনায় ব্যবহৃত প্রতিটি গানের শব্দের অর্থ এবং উদ্দেশ্যের সঠিক প্রয়োগ ঘটিয়ে উপাসনা পদ্ধতিকে আত্মস্পর্শী করেছেন।ধ্যানের পদ্ধতি অর্থাৎ সেই নির্দিষ্ট গুণের সংজ্ঞা রচনা করেছেন। উপাসনার প্রতিটি পর্যায় যেমন-
১ম- সত্যধর্ম্মের শ্রেষ্ঠতা সূচক সঙ্গীত
২য়- নির্ব্বেদ-জনক সঙ্গীত
৩য়- মনের প্রতি এবং জনের প্রতি।
৪র্থ- গুণকীর্তন
৫ম- স্বীয় পুণ্য উল্লেখ ও তজ্জন্য আত্মানন্দ ভোগ
৬ষ্ঠ- পুণ্য রত্নের জন্য প্রকাশ
৭ম- প্রেম গুণের জন্য প্রকাশ
৮ম- ধ্যান প্রেম গুণের
৯ম- দীক্ষাবিজ জপ
১০ম- জগদীশ্বরের প্রেমময় স্তব
১১শ- জগদীশ্বরের আনন্দময় স্তব
১২- জগদীশ্বরের ধন্যবাদ
এই সুত্রের ভিত্তিতে গুণের অঙ্ক মিলিয়েছেন। উপাসনার শুরুতে গুরু আহ্বান এবং উপাসনা হওয়ার পর গুরুদেবের ধন্যবাদও অর্থসংগত করেছেন। যে গুণের উপাসনা, সেই গুণ নিয়েই উপাসনার সমস্ত গান হতে হবে এই জ্ঞানে আমাদের আত্মোন্নতির পথকে সুগম করেছেন।এই নিয়মের বাইরে গুণ অর্জন সম্ভব না তাই এতদিনে সত্যধর্ম্মের নামে এই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
প্রতিটি গুণ আন্তঃসম্পর্কযুক্ত কিন্তু তাদের সংজ্ঞা, উৎপত্তির কারণ, উৎপত্তির ব্যাঘাত, অনুভূতি, শ্রেনীবিভাগ,আধার,সেই গুণের পাত্র, বিশেষত্ব,সেই গুণের সাধনা কিরূপ, সাধনার ফল, শক্তি -কার্য্য- লয় অন্যান্য গুণের সঙ্গে প্রভেদ ইত্যাদি বিষয়ের তারতম্য আছে। সত্যধর্ম্ম এবং পৃথিবীর ইতিহাসে বর্তমান আদিষ্ট সাধক প্রথম যিঁনি আমাদের শেখালেন কিভাবে প্রেম গুণে উপাসনা এবং প্রেম গুণে গুরু পূজা করতে হয়। প্রেম কামনাতীত, সকল গুণের শ্রেষ্ঠ সর্বশ্রেষ্ঠ গুণরত্ন প্রেম। যে গুণের অঙ্কুর 'ভালোবাসা'। প্রকৃত ভালোবাসা পৃথিবীতে নেই। আর আমরা প্রেম গুণ অর্জনের সূত্র পেলাম। কোটি কোটি মানুষের উদ্ধারের পথ প্রকাশিত হল। সত্য মনুষ্যত্বের পরিচয় বহন করে। তাই প্রথমে মানুষ হতে হবে তার উপায় স্বরূপ সত্য গুণের সংজ্ঞা আবিষ্কার করেছেন। পরমেশ্বর দ্বারা আদিষ্ট হওয়ার নিয়মে সত্য গুণে ব্রহ্মদর্শন করতে হয়। ২০১১ সালে বর্তমান আদিষ্ট সত্য গুণে একত্ব প্রাপ্ত হন। যে সত্য গুণের উদ্ভাসিত প্রখর আলোক রশ্মি, জ্ঞান উদ্দীপ্ত ত্যেজের জ্যোতি, আমাদের জীবনে অজ্ঞানতার অন্ধকার দূরীকরণে একই স্রোতে প্রবহমান।
যে সুশোভিত তরুর আচ্ছাদনে থেকেও আমাদের হৃদয় নিরাশ্রয়।
যাঁর গুণ রাশির প্লাবিত ধারায় প্রতি মূহুর্তে স্নাতপুত হয়েও আমাদের হৃদয় রুক্ষ-শুষ্ক-মরুপ্রায়।
যাঁর প্রতিটি শ্বাস-প্রশ্বাসে কেবল আমাদের মঙ্গল স্থান পায়।
তোমার অপার করুণায় সত্যধর্ম্ম লাভ করেছি।।
ওহে ! সর্ব্বশাস্ত্রপর, দক্ষ, সদা সর্ব্বশাস্ত্রার্থবিৎ, সুবচাঃ, সুন্দর, স্বচ্ছ, কুলীন, শুভ দর্শন, জিতেন্দ্রিয়, সত্যবাদী, ব্রাহ্মণ, শান্তমানস, মাতাপিতৃহিতে যুক্ত, সর্ব্ব কর্ম্ম পরায়ণ, আশ্রমী, দেশবাসী ; বাকসিদ্ধি, গুটিকাসিদ্ধি, কীর্তিসিদ্ধি, অমৃতসিদ্ধি, অমূলসিদ্ধি, আয়ু-প্রদান-শক্তি ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি গুণাবলী সম্পন্ন মন্ত্রদাতা পরমগুরু আমার ! তোমার চরণে কৃতজ্ঞতায় সচেষ্ট প্রণাম জানাই।
ধন্য গুরু প্রেমপূর্ণিমা,
ধন্য তোমার এ বাসনা। 🙏
বিঃ দ্রঃ- (আদিষ্ট হতে গেলে ব্রহ্মদর্শন এবং গুরু হওয়ার উপযুক্ত গুণাবলী সহ সকল প্রকার সিদ্ধি থাকতেই হয়।)
(পরমেশ্বর এঁর অনন্ত গুণের কোন একটি গুণে একত্ব প্রাপ্ত হয়েছেন এমন ব্যক্তি সেই গুণের ঈশ্বর শব্দে কথিত হন; 'ঈশ্বর' কথার অর্থ গুণ)।
0 মন্তব্যসমূহ