পৃথিবীতে প্রচলিত যতগুলো ধর্ম্ম প্রণালী আছে সেগুলো সাকারবাদ। গুণ নিরাকার সুতরাং সাকারবাদ মিথ্যা। মিথ্যা মাত্রই পাপ স্পর্শ হয়।। এটা স্পষ্ট প্রমাণিত হচ্ছে যে পুণ্যের নামে তারা পাপ করছে। সত্যকে বোঝার জন্য জ্ঞানের প্রয়োজন। সমস্ত বিষয়ের সত্যতা জানতে চেষ্টা করাই জ্ঞান অর্জনের উদ্দেশ্য। যেমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বইয়ের লেখনীর মাধ্যমে সত্যকে উপস্থাপন করা শিক্ষা দানের একটি অংশ। তাহলে যারা লেখা পড়া শিখে সৎ হতে পারছে না তারা অবশ্যই অশিক্ষিত। মিথ্যা ছাড়তে পারছে না তাহলে সেই শিক্ষার কি মূল্য আছে ? একটি সন্তানকে বাড়িতে বা সেই প্রতিষ্ঠানগুলোতে যে পড়াশোনা শেখানো হচ্ছে সেখানে তাদের বলা হচ্ছে না যে কল্পিত দেবদেবীর ছবি মূর্তি গুলো মিথ্যা কারন সেগুলো ক্যামেরা দিয়ে তোলা না।নিজেরাই জানে না। এরকম চেহারা ছিল না।তাই এই মিথ্যা চেহারা বানিয়ে পূজা করলে দেবদেবীগণ এটা পূজা হিসেবে মানতে পারেন না। উপরন্তু মিথ্যা কার্য্য করার জন্য তাদের পাপ হচ্ছে। ধর্ম্মের মূল বৈশিষ্ট্য সত্য। সত্যকে অবলম্বন না করলে কোন প্রকার গুণের বৈশিষ্ট্য জানা যায় না। পরমেশ্বর অর্থাৎ সৃষ্টিকর্ত্তা তিনি অনন্ত অনন্ত অনন্ত গুণের সমষ্টি। পরমেশ্বর সত্য স্বরূপ। তিনি যে সত্য স্বরূপ তার প্রমাণ এই সৃষ্ট জগতের অস্তিত্বের মধ্যে আমরা পাই। মিথ্যাচার করে সেই যুক্তি প্রমাণ গ্রহণ করা যায় না। তাই আমাদের হৃদয় যদি সত্য অবলম্বনের গবেষণাগার হয় তবেই নিজেদের শোধরাতে পারবো।এই না শোধরানোর ফলে জন্ম জন্ম ধরে বিফলে যায়। এই সৃষ্ট জগতে প্রতিটি বিষয়ের অস্তিত্ব সত্য, সেই অস্তিত্বের যে নিয়ম তা একমাত্র সত্যের ওপর নির্ভর করে আছে। অনুজীব বা বৃহদাকার সবকিছুর নির্দিষ্ট নিয়ম অর্থাৎ বৈশিষ্ট্যকে অনুসরণ করে টিকে থাকে । সৃষ্টির এই নিয়ম একইভাবে চলতে থাকে। প্রকৃতির এই নিয়মই ঈশ্বর অর্থাৎ গুণ। আর অসীম অনন্ত গুণের সমষ্টি পরম ঈশ্বর।
আত্মা অবিনশ্বর।আত্মার বৈশিষ্ট্য নির্ধারণ করে আমাদের অস্তিত্ব। গবেষণার মাধ্যমে এই 'আমি' কে জানতে পারাই একত্ব।'আমি' মানে আমার এই শরীর নয় ,'আমি' বলতে আমার আত্মা। প্রতিটি জন্মে আমাদের শরীর পরিবর্তনশীল কিন্তু আত্মার পরিবর্তন হয়না।আত্মা একই থাকে কেবল তার গুণগত বৈশিষ্ট্যের তারতম্য হয়। গবেষণা কথার অর্থ চর্চা বা অভ্যাস করা বা অনুশীলন করা। দোষের প্রবণতাকে নিয়ন্ত্রণ করে প্রতি মূহুর্তে গুণের অভ্যাস করলে সেই গুণ আত্মাকে পাপ থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে। কোন একটি গুণে আত্মাকে পাপ থেকে মুক্ত করাই মানব জন্মের সার্থকতা। যে পদ্ধতিতে এই কার্য্য সম্পাদিত হয় তাকে গবেষণা বলা হয়। আর গবেষণার ফলকে একত্ব বলা হয়। পরমেশ্বরের অনন্ত গুণের মধ্যে কোন একটি গুণের অস্তিত্ব এবং পরাকাষ্ঠা করাকে একত্ব বলা হয়।
বিঃদ্রঃ একমাত্র সত্যধর্ম্মের নিয়ম অনুযায়ী গবেষণা করতে হবে তবেই একত্ব সম্ভব। কারন সত্যধর্ম্ম একমাত্র সত্যতায় পরিপূর্ণ।বাকি সমস্ত ধর্ম্মের মধ্যে কিঞ্চিৎ সত্য আছে। বেশিরভাগই মিথ্যাচার।
0 মন্তব্যসমূহ