অভ্যাস আমাদের স্বভাবত ধর্ম্ম। কোন ব্যক্তি ভালো বা কোন ব্যক্তি মন্দ, এই তুলনা কেবল গুণের তারতম্য অনুযায়ী আমরা বুঝতে পারি। আশির্ব্বাদ করার সময় সাধারনত বলতে দেখা যায় শান্ত হও, জ্ঞানী হও,জিতেন্দ্রিয় হও, ভক্তিমান হও, প্রেমিক হও। এই গুণগুলোর প্রার্থনার বিষয়ও বটে। অপরের দুঃখে দুঃখী হওয়া ও অপরের সুখে সুখী হওয়াকে গুণের অভ্যাস বলা হয়। প্রথমত, অভ্যাস আমাদের স্বাভাবিক ধর্ম্ম। দ্বিতীয়ত এই গুণের অভ্যাস দ্বারাই আমরা উন্নতি করতে পারব। সব ধর্ম্মেই অল্প অল্প পরিমাণে গুণের অভ্যাস করার কথা বলা আছে। অন্যান্য ধর্ম্মে সত্যধর্ম্মের কণা কণা অংশ সত্য রয়েছে। একমাত্র সত্যধর্ম্ম সত্যতায় পরিপূর্ণ।তাই সত্যধর্ম্মে গুণের অভ্যাসের পদ্ধতি সম্পূর্ণভাবে লিপিবদ্ধ করা আছে। তৃতীয়ত, গুণের অনুশীলন সকল দেশে,সব সময়ে সমস্ত ধর্ম্ম প্রচারক গণের অভিমত। গুণ দ্বারাই মানুষ এবং পশুর মধ্যে, মহাত্মা এবং মানুষের মধ্যে তফাৎ বুঝতে পারি। যদি পশুভাব ত্যাগ করা আমাদের অবশ্য কর্ত্তব্য হয়, তাহলে গুণের অভ্যাস করতে হবে।যদি নিকৃষ্ট কাজগুলো বন্ধ করে উৎকৃষ্ট কাজের অনুশীলন করতে হয় তার একমাত্র উপায় হয় গুণের অনুশীলন। যদি জ্ঞান অর্জন করে পাপ থেকে মুক্তি পেতে হয় তারও একমাত্র উপায় গুণের অভ্যাস।
প্রাচীন কাল থেকে আজ পর্যন্ত বহু লোক যোগ সাধনাকে সমর্থন করেন। কিন্তু যোগসাধনার থেকে গুণ সাধনা শ্রেষ্ঠ।যোগসাধনায় আত্মোন্নতি কিছু হয় না।আর আত্মার উন্নতিতেই আমাদের মুক্তি। শরীর এবং আত্মা দুটো আলাদা বিষয়। যোগে যে ফলাফল কঠিন এবং সময় বেশি লাগে গুণের মাধ্যমে তা সহজ এবং কম সময়ে সম্ভব হয়। অঙ্কশাস্ত্রে গুণ শিখতে গেলে আগে যেমন যোগ শিখতে হয় তেমনি গুণ সাধনার মাধ্যম হিসেবে শরীরকে সুস্থ রাখা প্রয়োজন। গুণের নিয়মে যেমন অন্যকে ভালোবাসতে গেলে আমাদের আত্মায় করুণরসের যোগ আত্মায় রাখা প্রয়োজন। পরমেশ্বর এঁর সৃষ্টির নিয়মে আমরা কিছু কিছু সরল গুণ পাই। সেই স্বাভাবিক গুণের অঙ্কুর থেকে আমাদের গুণের অনুশীলন শুরু করা কর্ত্তব্য। যোগসাধনা দ্বারা কোনদিন সেইসব গুণ রপ্ত করা সম্ভব না। বরং সেগুলো গুণ সাধনার যে ক্রমপর্যায় সেই পথে বাঁধা সৃষ্টি করে। সুতরাং এটা প্রমাণিত হয় যে গুণের অনুশীলন উৎকৃষ্ট উপায় যার ওপর সমস্ত উন্নতি নির্ভর করে।
আমরা যে মধুময় কাব্যরস যেমন- শিল্প, সাহিত্য,কবিতা,গদ্য, উপন্যাস,নাটক,গান, চলচ্চিত্র ইত্যাদি দেখে শুনে মুগ্ধ হয়ে যাই। আমাদের অন্তরের সুখ দুঃখের সঙ্গে উপলব্ধি করি সেই সমস্ত সৌন্দর্য গুণ সাধনার ফলেই রচিত হয়েছে। আমরা যতজন মহাপুরুষের নাম জানতে পারি, পৃথিবীবাসি যাদের অবদান দ্বারা উপকৃত হয়েছে তা সবই তাদের স্বার্থত্যাগ গুণের ফল। আমরা যে দোষী ব্যাক্তির অট্টালিকা ত্যাগ করে সৎ ব্যক্তির পাতার কুটিরকে শ্রেয় বিবেচনা করব এক্ষেত্রেও অনুশীলন প্রয়োজন। সুতরাং সত্য মিথ্যা যাচাই করতেও আমাদের গুণের অনুশীলন প্রয়োজন।আমরা যাতে ভুল পথে না এগোই সেই শিক্ষা গুণ সাধনার ফলে পাওয়া যায়।
গুণ প্রকৃতির স্বাভাবিক ধর্ম্ম। গুণের অনুশীলন করেই আমরা নিজেদের আত্মাকে পরিশোধিত ও সংস্কার করতে পারব। নিশ্চিতভাবে বলা যায় গুণ একমাত্র মুক্তির উপায়। যে উপায় সত্যধর্ম্মের সুচারুভাবে লিপিবদ্ধ আছে। এই পথ আর কেউ দেখায়নি, দেখানোর সাধ্যও নেই। ১৮৮৫ সালে ২০ শে অক্টোবর ঈশ্বর গুরুনাথ সেনগুপ্ত সর্ব্বসাধারণের জন্য এই মুক্তির পথ এবং গুণ অর্জনের উপায় আবিষ্কার করেন।
প্রাচীন কাল থেকে আজ পর্যন্ত বহু লোক যোগ সাধনাকে সমর্থন করেন। কিন্তু যোগসাধনার থেকে গুণ সাধনা শ্রেষ্ঠ।যোগসাধনায় আত্মোন্নতি কিছু হয় না।আর আত্মার উন্নতিতেই আমাদের মুক্তি। শরীর এবং আত্মা দুটো আলাদা বিষয়। যোগে যে ফলাফল কঠিন এবং সময় বেশি লাগে গুণের মাধ্যমে তা সহজ এবং কম সময়ে সম্ভব হয়। অঙ্কশাস্ত্রে গুণ শিখতে গেলে আগে যেমন যোগ শিখতে হয় তেমনি গুণ সাধনার মাধ্যম হিসেবে শরীরকে সুস্থ রাখা প্রয়োজন। গুণের নিয়মে যেমন অন্যকে ভালোবাসতে গেলে আমাদের আত্মায় করুণরসের যোগ আত্মায় রাখা প্রয়োজন। পরমেশ্বর এঁর সৃষ্টির নিয়মে আমরা কিছু কিছু সরল গুণ পাই। সেই স্বাভাবিক গুণের অঙ্কুর থেকে আমাদের গুণের অনুশীলন শুরু করা কর্ত্তব্য। যোগসাধনা দ্বারা কোনদিন সেইসব গুণ রপ্ত করা সম্ভব না। বরং সেগুলো গুণ সাধনার যে ক্রমপর্যায় সেই পথে বাঁধা সৃষ্টি করে। সুতরাং এটা প্রমাণিত হয় যে গুণের অনুশীলন উৎকৃষ্ট উপায় যার ওপর সমস্ত উন্নতি নির্ভর করে।
আমরা যে মধুময় কাব্যরস যেমন- শিল্প, সাহিত্য,কবিতা,গদ্য, উপন্যাস,নাটক,গান, চলচ্চিত্র ইত্যাদি দেখে শুনে মুগ্ধ হয়ে যাই। আমাদের অন্তরের সুখ দুঃখের সঙ্গে উপলব্ধি করি সেই সমস্ত সৌন্দর্য গুণ সাধনার ফলেই রচিত হয়েছে। আমরা যতজন মহাপুরুষের নাম জানতে পারি, পৃথিবীবাসি যাদের অবদান দ্বারা উপকৃত হয়েছে তা সবই তাদের স্বার্থত্যাগ গুণের ফল। আমরা যে দোষী ব্যাক্তির অট্টালিকা ত্যাগ করে সৎ ব্যক্তির পাতার কুটিরকে শ্রেয় বিবেচনা করব এক্ষেত্রেও অনুশীলন প্রয়োজন। সুতরাং সত্য মিথ্যা যাচাই করতেও আমাদের গুণের অনুশীলন প্রয়োজন।আমরা যাতে ভুল পথে না এগোই সেই শিক্ষা গুণ সাধনার ফলে পাওয়া যায়।
গুণ প্রকৃতির স্বাভাবিক ধর্ম্ম। গুণের অনুশীলন করেই আমরা নিজেদের আত্মাকে পরিশোধিত ও সংস্কার করতে পারব। নিশ্চিতভাবে বলা যায় গুণ একমাত্র মুক্তির উপায়। যে উপায় সত্যধর্ম্মের সুচারুভাবে লিপিবদ্ধ আছে। এই পথ আর কেউ দেখায়নি, দেখানোর সাধ্যও নেই। ১৮৮৫ সালে ২০ শে অক্টোবর ঈশ্বর গুরুনাথ সেনগুপ্ত সর্ব্বসাধারণের জন্য এই মুক্তির পথ এবং গুণ অর্জনের উপায় আবিষ্কার করেন।
0 মন্তব্যসমূহ