গুরু আবরণ।


 সমগ্র পৃথিবীতে ধর্ম্মের নামে মিথ্যাচার চলছে। ধর্ম্ম কথার অর্থ পথ। যে পথ অনুসরণ করে আমরা ক্রমশ নিজেদের অন্যায়কে দূর করতে পারব সেই পথকে ধর্ম্ম বলা হয়। পৃথিবীতে একমাত্র সত্যের নিয়মেই আমরা সৎ আচরণ শিখতে পারব । সত্য মনুষ্যত্বের পরিচয় বহন করে। আমরা নিজেদের মানুষ বলে পরিচয় দিই তাই আমাদের আচরণ যদি মানবিক না হয় তাহলে মিথ্যাচার করা হয়। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে মিথ্যাকে ত্যাগ করাই মানবিকতা। এই মানবিকতা বজায় রাখার জন্য গুণের অভ্যাস করা প্রয়োজন।এই প্রয়োজনের তাগিদেই ধর্ম্মের আবিষ্কার হয়েছে। একমাত্র সত্যপথে আমরা সুশৃঙ্খল হতে পারব।


 সংস্কার করে সমাজকে জঞ্জাল মুক্ত করাই ধর্ম্মের উদ্দেশ্য। সমাজ একটি সমষ্টিগত রূপ। সত্য অবলম্বন করে নিজের ভেতরের সমাজকে শোধরাতে পারা প্রধান কর্তব্য। চারপাশে সবাই নিজের দোষকে লুকিয়ে রেখে অন্যকে দোষারোপ করায় ব্যস্ত থাকে । নিজের পাপের কথা বলতে শেখা ধর্ম্মের উদ্দেশ্য। দৈনন্দিন জীবনে আমরা প্রচুর ভুল করে ফেলি। দিনশেষে নিজেদের ভুল স্বীকার করে সর্বশক্তিমান পরমেশ্বর এঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে শেখা ধর্ম্মের কাজ। সৎপথে পরিচালনা করার জন্য একজন গুরুর প্রয়োজন। গুরু হতে বহু বহু গুণ অর্জন করতে হয়। গুরুর গুণের প্রভাবে আমাদের অন্যায়ের প্রবৃত্তি কমতে থাকে। গুরু আমাদের সত্য অবলম্বন করে মানুষ হতে শেখান। আমাদের মধ্যে পাশবিক বৈশিষ্ট্য গুলো দূর করে সুন্দর হতে শেখান। গুণী হতে চেষ্টা করাই জন্মগ্রহণ করার উদ্দেশ্য। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে এই চেষ্টার নিয়ম থাকতে হবে। যদি না থাকে তা মিথ্যাচার।

মিথ্যা মাত্রই পাপ। কোন বিষয় মিথ্যা দিয়ে শুরু হলে তা আরও অনেক মিথ্যার আখড়ায় পরিণত হয়। ধর্ম্ম যদি বিজ্ঞানসম্মত না হয় তা মিথ্যা। নিজের বাড়ি,স্কুল,কলেজ, হাসপাতাল,বিচারালয়, বিভিন্ন স্থানে সত্যকে পালন করাই ধার্মিকতা।ধর্মের নামে চারপাশে কল্পনা এবং মিথ্যার জগত তৈরি করেছে। এতটাই অজ্ঞান মূর্খ যে ইচ্ছে করে দিনের পর দিন লোভের মাত্রা বাড়িয়ে তারা নোংরামি করে যাচ্ছে। নিকৃষ্ট ব্যাক্তি সবসময় চেষ্টা করে অপরকে কি করে নিকৃষ্ট করা যায়।এই বিপদ থেকে রক্ষা করা গুরুর কাজ। সত্যধর্ম্মের গুরু আমাদের দায়িত্ব সহকারে গুণের অনুশীলন শেখান।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ