জ্ঞান গুণের ধ্যান:
যে গুণে মনের বিকাশ লাভ হয় ও সুখ বৃদ্ধি করে এবং আনন্দ রসময়ের উদয় হয় তাহাকেই জ্ঞান কহে। যে গুণ অজ্ঞানতা দূরিভূত করিয়া গুণালকে মনের উজ্জ্বল রূপ প্রদান করে তাহাকেই জ্ঞান গুণ কহে। যে গুণের প্রভাবে অপরের মনে ক্ষুদ্রতা দূরিভূত হইয়া পরম সুখ লাভে চরিতার্থ করিতে পারি তাহাকেই জ্ঞান কহে। যে গুণ ঐ পরম গুণ লাভের নিদান তাহাকেই জ্ঞান কহে। যে পরমধন লভিতে প্রেম দৃষ্ট হয়, অনায়াশে তাহা জ্ঞান মিষ্ট কহে।
---আদিষ্ট নিরুপম।
জ্ঞান অর্জনের মূল উদ্দেশ্য যুক্তি প্রমাণের মাধ্যমে সত্যকে আবিষ্কার করা। সত্য অস্তিত্বপূর্ন;অপরদিকে মিথ্যার কোন অস্তিত্ব নেই।
জন্মসূত্রে আমরা পাশবদ্ধ পশু, কারণ জন্মগত বৈশিষ্ট্য হিসেবে আমরা কাম, ক্রোধ, লোভ, মদ, মাৎসর্য্য ইত্যাদি নিয়ে জন্মগ্রহণ করি। পৃথিবীতে যত প্রকার অন্যায় কার্য্য হয় সেগুলো সবই কোন না কোনভাবে এই পাশবিক তাড়নায় ঘটে থাকে। অষ্টপাশ ষড়রিপুর প্রভাবে হিতাহিত জ্ঞান থাকে না, মস্তিষ্কের বিকৃতিযায়ে। যার ফলে অন্যায় করার প্রবৃত্তি বেড়ে যায়।
সত্যধর্ম্মের নিয়ম অনুযায়ী সত্যকে অবলম্বন করে এই পশুত্ব থেকে মনুষ্যত্ব, মনুষত্ব্য থেকে দেবত্ব, দেবত্ব থেকে ঈশ্বরত্ব লাভ করাই মানব জন্মের স্বাধীনতা। গুণ অর্জনের জন্য আমাদের পৃথিবীতে আসা। নিজের মধ্যে থাকা দোষগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করে বিপরীত গুণের অভ্যাস করানোই ধর্ম্মের উদ্দেশ্য। অজ্ঞানতা পাপের কারণ তাই জ্ঞানের অভাবে বিভিন্ন ভুল হতে থাকে।
জ্ঞানদেবী অর্থাৎ স্বরস্বতী দেবীকে কল্পনা করে যে ছবিমূর্তি
তৈরি করা হয়েছে তা ক্যামেরা দিয়ে তোলা না। স্বরস্বতী দেবীর অস্তিত্ব ছিল। জন্মগ্রহণ করেছিলেন, জ্ঞানের অধিকারী হয়েছেন। এক এক জায়গায় জ্ঞানদেবীর ছবি পৃথক পৃথক ভাবে ছবি মূর্তি তৈরি হয়! কত রকম চেহারা হয় তাহলে? যেমন পোশাক পরিচ্ছদ পরানো হচ্ছে সেই দেব বা দেবী ওরকম না। অস্তিত্ব ছিল কিন্তু কল্পনা করে যে রূপ দেওয়া হয়েছে তা মিথ্যা। সত্য নিষ্ঠা নিয়ে দেবত্ব অর্জন করার পর তিনি কি করে মেনে নেবেন যে ওই ছবি বা মূর্তি তার! আমরা সাধারণ মানুষ তাই অন্য কারোর ছবি এনে যদি আমার ছবি বলে দেখানো হয়, আমি মানতে পারব না কারণ আমি নিজেকে আয়নায় দেখেছি।
চারপাশে যেভাবে যে উশৃঙ্খল কার্যের মাধ্যমে জ্ঞান দেবীর পূজার নামে অজ্ঞানতার বহর দেখানো হয় তা মিথ্যা। আর মিথ্যা মাত্রই পাপ। সত্যের বিপরীতে অন্য সমস্ত গুণ অস্তিত্বহীন।
শিক্ষা বলতে জ্ঞান অর্জন এর প্রাথমিক পর্যায়,কোন বিষয়ের কার্য কারন সম্পর্কে গভীর ভাবে জানতে পারলে আমাদের যে ধারনা হয় তার মাধ্যমে আমরা শিখতে পারি।
সৃষ্ট জগতে প্রকৃতিতে কি জীব কি জড় সবকিছুই গুণের সমষ্টি। গুণের বৈশিষ্ট্যের যে বিভিন্নতা তার দ্বারা পরিচালিত হয়।"নাহি ক্রম ভঙ্গ,পূর্ণ প্রতি অঙ্গ,নাহি বৃদ্ধি অপচয়,যে যাহার কাজ নিরবে সাধিচে উপদেশ নাহি লয়"। এই বিশ্বপ্রকৃতি পরমপিতার নিয়মের অধীন, কেবল মনুষ্যের মধ্যে ব্যাক্তিত্ব আরোপ করে স্বাধীনতা দিয়েছেন,দোষ গুণের মিশ্রিত ভাবে। আমরা চাই বা না চাই সময়ে সাথে সাথে আমারা গুণ অর্জন করতে থাকি তবে জেনে নিয়ে সেই শিক্ষা গ্রহণ করলে তা ফলপ্রসূ হয়।
"তব ইচ্ছা বলে সদা বহে সমীরণ,তব ইচ্ছা বলে ভানু প্রদানে কিরণ,জলদে বরষে বারি তোমারি ইচ্ছায়",বাতাস কোন গোলার্ধে কোন দিকে প্রবাহিত হবে,সূর্যের উদয় অস্ত,মেঘ সৃষ্টি, বৃষ্টি হওয়া,প্রতিটি ভৌগলিক,আঞ্চলিক, বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা এই সমস্ত কিছুই আমাদের শিক্ষার অন্তর্গত।যেমন গাছ থেকে আপেল মাটিতে পড়ছে দেখতে পেয়ে বিজ্ঞানী আইজ্যাক নিউটন মাধ্যাকর্ষণ শক্তি আবিষ্কার করেন,তিনি বলার আগে থেকেই কিন্তু এই শক্তির অস্তিত্ব ছিলো তার কার্য কারন ধারনা তিনি উপস্থাপন করেছেন।
অনেকে বলে থাকেন প্রকৃতির নিয়মই ঈশ্বর,সত্যিই তো,অনন্ত জ্ঞানময় তিঁনি। যে যতটাই জ্ঞানী হোন না কেন তবুও জানা বাকি থেকে যায়।জ্ঞানের সহিত প্রেম মিলিত হলে আত্মোপলব্ধিতে কোন আবিষ্কার সম্ভব। সত্য ধর্ম্মের প্রকৃত শিক্ষিত ব্যাক্তির বৈশিষ্ট্য কেমন হয় তাই বর্ণিত আছে।
শিক্ষার সাধারণ নিয়ম অনুযায়ী প্রথমে কার্যজ্ঞান এবং পশ্চাদ কারন জ্ঞান আবশ্যক।কোন বিষয়ে কর্ম না করে তার ফল পাওয়া সম্ভব না।গুরু যদি বলেন উপাসনা সাধনা করতে তবে প্রথমেই সহজ জ্ঞান নির্ভরতা এবং বিশ্বাস সহযোগে সেই কর্ম করে যেতে হবে প্রথমেই উন্নতি দেখতে চাইলে সম্ভব না।
বাঁচার তাগিদে, শরীর রক্ষার্থে আমরা খাবার খাই,আমরা দেখি যে খাবার গ্রহন করলে শক্তি বৃদ্ধি হয় এটা আমরা কার্যজ্ঞানে করে থাকি।
গর্ভাবস্থায় স্বামী যদি দূর কোন স্থানে থাকেন,ওই সন্তান বড়ো হয়ে সেই ব্যাক্তির সংস্পর্শে এলে তার হৃদয়ে এক অদ্ভুত স্নেহের উদয় হয় এটি কার্যজ্ঞানে উপলব্ধি হয়।
কুকুর বিড়ালদের শরীর অসুস্থ বোধ হলে তারা ঘাস পাতা খেয়ে ইচ্ছাকৃত বমি করে এবং কিছু সময় পর সেই বমি খেয়ে নিজেরাই রোগ সারিয়ে নেয়,এ থেকে বোঝা যায় ওই কার্যের কারনজ্ঞান তারা জানে।
শিশু ভুমিষ্ঠ হওয়ার পর মাতৃস্তনের দুগ্ধ পানের কৌশল তাকে শেখাতে হয় না ভীষণ স্বাভাবিক নিয়মেই তাদের এই কার্যের জ্ঞান থাকে।
প্রকৃতির প্রতিটি বিষয় তারা যেমন উন্নত, তাদের থেকে প্রতি মূহুর্তে আমাদের গুণ শেখার আছে,জন্ম জন্মা ধরে আমরা যেসব খারাপ অভ্যাসে অভ্যস্ত তার প্রভাবে আমরা আত্মায় ভালো কিছুর যোগান দিতে ব্যার্থ হই তবে সত্যকে অন্তরস্থ করতে পারাতেই আত্মোন্নতির উন্নতির শুভ সূচনা, পার্থিব শিক্ষা এবং আধ্যাত্মিক শিক্ষা একে অপরের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত সেই সঠিক পথে পরিচালনা করার জন্য একজন পরমেশ্বর এঁর নির্ধারিত প্রায় অশেষ গুণসম্পন্ন যোগ্য পথপ্রদর্শক এর প্রয়োজন পৃথিবীতে একমাত্র সত্যধর্ম্মে আদীষ্ট তেমনই হন,তাই সকল বিষয়ে শিক্ষাদানে তিনি সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ বিবেচিত হন।
সৃষ্ট জগতে প্রকৃতিতে কি জীব কি জড় সবকিছুই গুণের সমষ্টি। গুণের বৈশিষ্ট্যের যে বিভিন্নতা তার দ্বারা পরিচালিত হয়।"নাহি ক্রম ভঙ্গ,পূর্ণ প্রতি অঙ্গ,নাহি বৃদ্ধি অপচয়,যে যাহার কাজ নিরবে সাধিচে উপদেশ নাহি লয়"। এই বিশ্বপ্রকৃতি পরমপিতার নিয়মের অধীন, কেবল মনুষ্যের মধ্যে ব্যাক্তিত্ব আরোপ করে স্বাধীনতা দিয়েছেন,দোষ গুণের মিশ্রিত ভাবে। আমরা চাই বা না চাই সময়ে সাথে সাথে আমারা গুণ অর্জন করতে থাকি তবে জেনে নিয়ে সেই শিক্ষা গ্রহণ করলে তা ফলপ্রসূ হয়।
"তব ইচ্ছা বলে সদা বহে সমীরণ,তব ইচ্ছা বলে ভানু প্রদানে কিরণ,জলদে বরষে বারি তোমারি ইচ্ছায়",বাতাস কোন গোলার্ধে কোন দিকে প্রবাহিত হবে,সূর্যের উদয় অস্ত,মেঘ সৃষ্টি, বৃষ্টি হওয়া,প্রতিটি ভৌগলিক,আঞ্চলিক, বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা এই সমস্ত কিছুই আমাদের শিক্ষার অন্তর্গত।যেমন গাছ থেকে আপেল মাটিতে পড়ছে দেখতে পেয়ে বিজ্ঞানী আইজ্যাক নিউটন মাধ্যাকর্ষণ শক্তি আবিষ্কার করেন,তিনি বলার আগে থেকেই কিন্তু এই শক্তির অস্তিত্ব ছিলো তার কার্য কারন ধারনা তিনি উপস্থাপন করেছেন।
অনেকে বলে থাকেন প্রকৃতির নিয়মই ঈশ্বর,সত্যিই তো,অনন্ত জ্ঞানময় তিঁনি। যে যতটাই জ্ঞানী হোন না কেন তবুও জানা বাকি থেকে যায়।জ্ঞানের সহিত প্রেম মিলিত হলে আত্মোপলব্ধিতে কোন আবিষ্কার সম্ভব। সত্য ধর্ম্মের প্রকৃত শিক্ষিত ব্যাক্তির বৈশিষ্ট্য কেমন হয় তাই বর্ণিত আছে।
শিক্ষার সাধারণ নিয়ম অনুযায়ী প্রথমে কার্যজ্ঞান এবং পশ্চাদ কারন জ্ঞান আবশ্যক।কোন বিষয়ে কর্ম না করে তার ফল পাওয়া সম্ভব না।গুরু যদি বলেন উপাসনা সাধনা করতে তবে প্রথমেই সহজ জ্ঞান নির্ভরতা এবং বিশ্বাস সহযোগে সেই কর্ম করে যেতে হবে প্রথমেই উন্নতি দেখতে চাইলে সম্ভব না।
বাঁচার তাগিদে, শরীর রক্ষার্থে আমরা খাবার খাই,আমরা দেখি যে খাবার গ্রহন করলে শক্তি বৃদ্ধি হয় এটা আমরা কার্যজ্ঞানে করে থাকি।
গর্ভাবস্থায় স্বামী যদি দূর কোন স্থানে থাকেন,ওই সন্তান বড়ো হয়ে সেই ব্যাক্তির সংস্পর্শে এলে তার হৃদয়ে এক অদ্ভুত স্নেহের উদয় হয় এটি কার্যজ্ঞানে উপলব্ধি হয়।
কুকুর বিড়ালদের শরীর অসুস্থ বোধ হলে তারা ঘাস পাতা খেয়ে ইচ্ছাকৃত বমি করে এবং কিছু সময় পর সেই বমি খেয়ে নিজেরাই রোগ সারিয়ে নেয়,এ থেকে বোঝা যায় ওই কার্যের কারনজ্ঞান তারা জানে।
শিশু ভুমিষ্ঠ হওয়ার পর মাতৃস্তনের দুগ্ধ পানের কৌশল তাকে শেখাতে হয় না ভীষণ স্বাভাবিক নিয়মেই তাদের এই কার্যের জ্ঞান থাকে।
প্রকৃতির প্রতিটি বিষয় তারা যেমন উন্নত, তাদের থেকে প্রতি মূহুর্তে আমাদের গুণ শেখার আছে,জন্ম জন্মা ধরে আমরা যেসব খারাপ অভ্যাসে অভ্যস্ত তার প্রভাবে আমরা আত্মায় ভালো কিছুর যোগান দিতে ব্যার্থ হই তবে সত্যকে অন্তরস্থ করতে পারাতেই আত্মোন্নতির উন্নতির শুভ সূচনা, পার্থিব শিক্ষা এবং আধ্যাত্মিক শিক্ষা একে অপরের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত সেই সঠিক পথে পরিচালনা করার জন্য একজন পরমেশ্বর এঁর নির্ধারিত প্রায় অশেষ গুণসম্পন্ন যোগ্য পথপ্রদর্শক এর প্রয়োজন পৃথিবীতে একমাত্র সত্যধর্ম্মে আদীষ্ট তেমনই হন,তাই সকল বিষয়ে শিক্ষাদানে তিনি সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ বিবেচিত হন।
0 মন্তব্যসমূহ