পৃথিবীতে যতপ্রকার অন্যায় কার্য্য ঘটে সবই কাম, ক্রোধ, লোভ, মদ, মাৎসর্য্য ইত্যাদি অষ্টপাশ এবং ষড়রিপুর তাড়নায় ঘটে থাকে। এগুলো নিয়েই আমরা জন্মগ্রহণ করি এবং স্বাভাবিক ভাবে এগুলোতে আসক্ত হয়ে পড়ি। সৃষ্টির নিয়মে প্রতিটি বিষয়ের বিপরীত দিক আছে যেমন কামের বিপরীত প্রেম,ক্রোধের বিপরীতে তেজ, ন্যায়পরায়ণ, লোভের বিপরীত ত্যাগ, অনাসক্তি ইত্যাদি। গুণের অভ্যাস দ্বারাই দোষের চর্চা থেকে মুক্ত হওয়া অভ্যাস করতে হয়। আর দ্বিতীয় কোন উপায়। তাতেই আমাদের মনুষ্যত্ব বজায় থাকে। ওই নিয়ন্ত্রণ থেকে জয়ী হতে পারাই বীরত্বের পরিচয়, তাদের কাছে পরাধীন না থেকে স্বাধীন হতে পারলে তখনই প্রকৃত বিজয়ার সুখ।।
আমরা কতটা কামুক, কতটা ক্রোধিত, কতটা লোভি, কতটা পরশ্রীকাতর, কতটা স্বার্থপর,কতটা কেমন তা জানার সুদিন এসেছে। এসব পাশবিক প্রবৃত্তি থেকে মুক্তি পাওয়াই মানব জন্মের সার্থকতা।সেই উদ্দেশ্যে পরমপিতার একমাত্র অভিপ্রেত পথ ১৮৮৫ সালে ২০ শে অক্টোবর প্রকাশিত হয়েছিল। পরমপিতা করুণাময়,তিঁনি মঙ্গলময় বলেই সত্যধর্ম্মের আবির্ভাব হয়েছে; কোটি কোটি মানুষের উদ্ধারের পথ আজ আবিষ্কার হল। ঈশ্বর গুরুনাথ যিঁনি এই পথে আবিষ্কারক তাঁর জন্মজন্মারের সাধনার ফলে, পারলৌকিক মহাত্মাগণের সহায়তায় আমরা এই পথের সন্ধান পেয়েছি।সেই অশেষ গুণভূষিত মহাত্মা ঈশ্বর গুরুনাথকে প্রণাম জানাই।আমরা ওই চরণের যোগ্য নই তবুও তিঁনি আমাদের মত পাপী তাপীদের স্নেহ কোলে ধারন করেছেন এবং উপাসনা সাধনা দ্বারা দোষকে বর্জন করে গুণানুশীলনের মাধ্যমে উদ্ধারে দায়ভার গ্রহণ করেছেন।🙏🙏🙏
সত্যের আলোয় সকলের হৃদয় আলোকিত হোক এই আশা রাখি। বাইরে থেকে লক্ষ্য কোটি প্রদীপ জ্বালিয়েও যে অন্ধকার দূর করা যায় না। আজকের দিনে বাইরে থেকে সেই কার্য ঘটছে। প্রদীপ জ্বালানো অবশ্যই ভালো কাজ তবে কেবল বাইরে থেকে প্রজ্বলিত প্রদীপ ক্ষণস্থায়ী তাকে চিরস্থায়ী করার জন্য ১৮৮৫ সালে ২০ শে অক্টোবর ঈশ্বর গুরুনাথ সত্যধর্ম্মের আবিষ্কার করেছেন। প্রকৃত অর্থে সত্যতা বজায় রেখে মনগড়া কল্পনা, মিথ্যাচার , ভন্ডামি, এবং কুসংস্কারমুক্ত হয়ে বিজ্ঞানসম্মত ভাবে ধর্ম্মকে জানার পথ প্রকাশিত হয়েছে। অন্ধবিশ্বাস নয় সকলকে যুক্তি দিয়ে যাচাই করতে বলছি। অষ্টপাশ ষড়রিপুকে নিয়ন্ত্রণ করে গুণের অভ্যাস করাই মানব জন্মের সার্থকতা কারণ পৃথিবীতে যতপ্রকার অন্যায় কার্য্য ঘটে সবই এই পাশবিকতার তাড়নায়।
"অন্তরে বাহিরে আছো মোরে ঘিরে দেখে না অন্ধ নয়নে" ।
দেবদেবী ছিলেন, তাদের অস্তিত্ব মিথ্যা না কিন্তু কল্পনা করে তাদের যেমন ছবি বা মূর্তি তৈরি করা হয়েছে সেগুলোর সঙ্গে তাদের চেহারার কোন মিল নেই।অন্য একজনের ছবি দেখে আমি মানতে পারব না যে ওটা আমি তাহলে যারা দেবত্ব অর্জন করেছেন তারা কি করে মিথ্যা ছবি মূর্তিতে পূজা গ্রহণ করবেন। মিথ্যা আস্তিক হওয়ার চেয়ে নাস্তিক হওয়া শ্রেয়। আমি যতই বিশ্বাস করি না কেন আম কোনদিন কাঁচা লঙ্কা হয়ে যাবে না। দেবদেবীকে ভক্তি করা অন্যায় নয় তবে নিজেদের মত তাদের রূপ দেওয়া ভুল। ইতিহাস অনুযায়ী তাদের এরকম দেখতে ছিল না।তখন যেমন পোশাক পরা হত, যেমন গায়ের রং,যেমন শারীরিক গঠন তেমন না হলে তার মিথ্যা হয়ে যায়। যেহেতু ক্যামেরা ছিল না তাই তাদের মন্ত্র উচ্চারণ করে,যে গুণে তারা উন্নত সেই গুণের অভ্যাস করাই প্রকৃত পূজা এবং ভক্তি।
0 মন্তব্যসমূহ