মায়ের স্নেহের আঁচল আমাদের জীবনকে কতটা আগলে রাখে সেটা ঠিক ভাষায় ব্যক্ত করা যায় না ! সেই স্নেহের নীরে আমরা ভেসে যাই জীবিত থাকি।এই মমতা গুণের সীমাহীন অনন্ত প্রস্রবণ পরমপিতা যিনি সকল মায়ের মধ্যে এই মমতা গুণের উপযোগিতা তৈরি করেছেন।বাবা আমাদের পালন করেন,প্রয়োজনীয় সামগ্রীর জোগান দেন,সেই পালনও কিন্তু পরমপিতার ইচ্ছায়, যতটা যার ভাগ্যে থাকে। মেয়েদের স্বামী সুখ বা ছেলেদের স্ত্রী সুখ লাভ তাও অনন্ত প্রেমময়ের সুধা মাখা ইচ্ছায়।কারণ অপরকে ভালোবাসার জন্য যে যে গুণাবলী প্রয়োজন তার উৎস এবং বৃদ্ধির উপায় সৃষ্টিকর্তা যিঁনি অনন্ত প্রেমের অফুরন্ত ভান্ডার সত্যধর্ম্মের মাধ্যমে এই পৃথিবীবাসিকে সেই মুক্তির পথ দিয়েছেন; যেভাবে মানব জন্মের সার্থকতা সম্পাদন করা যায় ।কারণ, জন্মসূত্রে আমাদের ভেতর পশুত্ব থাকে এছাড়া বাবা এবং মায়ের দিকের পূর্বপুরুষদের রক্তে থাকা জীনগত কিছু বৈশিষ্ট্য নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছি।।এই সংসার জীবনে গুণ সাধনায় সচেষ্ট ব্যক্তিগণ যদি কোন দেবদেবীর দর্শনে আগ্রহী হন(*এখন চারপাশে দেবদেবীর কল্পিত যে ছবি বা মূর্তিতে পূজা করা হয় বাস্তবে এরকম চেহারা তাদের ছিল না, এখানে দেবদেবীর প্রকৃত রূপের কথা বলা হয়েছে বাস্তবে তাদের যেমন দেখতে ছিল) তাদের দর্শনে যদি ভক্তিতে চোখের জল পড়ে সেই সুখের কারণও অধম তারণ অর্থাৎ সমস্ত দেবদেবীও যাঁর গুণকীর্তন করেন, সত্য অবলম্বন পূর্ব্বক গুণ সাধনা ছাড়া দেবদেবীর দেবত্ব অর্জন সম্ভব হয়নি।গুরুর গুণের প্রভাবে এই সত্যকে জেনেছি (*সত্যধর্ম্মে গুরু হতে ব্রহ্মদর্শন করতেই হয়)। গুরুর অগণিত গুণচ্ছাসের পবিত্র প্রবাহমানতা, সত্যামৃতের প্লাবিত গুণরাশি আমার জন্ম জন্মান্তরের পাপকে দীক্ষাকালে ধৌত করেছে, যিঁনি বিনা আমি সাধন মার্গে পঙ্গু;যার করুণা বিনা আমার এক পা ও এগোনোর ক্ষমতা নেই ; এই সত্যকে জানতেই পারতাম না,মানতে পারা না পারা তো পরের বিষয়। কারণ প্রতিটি গুণের বৈশিষ্ট্য ভিন্ন ধরনের সেই গুণে একত্ব না পেলে সেই গুণের সংজ্ঞা এবং তাৎপর্য বিশ্লেষণ করা যায় না ; যিঁনি এই ভবজলধীকে ধীর স্থির করেন আমার মধ্যে থাকা উগ্র স্বভাব যার গুণের তেজে কম্পিত হয়; অন্যায় কার্যের প্রবৃত্তির তাড়নায় মানসিক, শারীরিক এবং আধ্যাত্মিকভাবে হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে যে বিকৃতিকর অবস্থা তৈরি হয় তার দুর্বিপাক থেকে যিনি প্রতিনিয়ত আমায় রক্ষা করে আমার অন্তরে কাম-ক্রোধ-লোভ- মদ-মাৎসর্য্য-কুল-শীল-জাতি-ঘৃণা- লজ্জা-ভয়- আরও ইত্যাদি রিপু এবং অষ্টপাশকে সঠিকভাবে পরিচালনা করতে শেখান;যিনি আমার অতীতকে ক্ষমা করে বাহ্য জগতের অভিজ্ঞতাকে উপলব্ধি করিয়ে আমার অজ্ঞানতা দূরীকরণে নিজেকে উৎসর্গ করেছেন; আমার সার্বিক মঙ্গল কামনায় যিঁনি প্রহরীর মত সদা নিয়োজিত ; যিঁনি আমায় নতুনভাবে প্রবর্ত্তিত করতে পারেন।গুরু হতে গেলে কঠিন এবং কোমল উভয় প্রকার গুণে পারদর্শী হয়ে বাবা এবং মায়ের মত কর্তব্যপরায়ণ,সন্তানবৎসল হতে হয় যে গুণ আমাদের প্রতি পরমপিতার রয়েছে।গুরু যে এমন হন এই অমূল্য রত্ন পাওয়ার জন্য তাঁর চরণ কোমলে এবং এই প্রাপ্তির মূলে যিঁনি কারণের কারণ সেই দয়াময় কৃপাময় অনন্ত গুণময় পরমেশ্বর এঁর প্রতি আমি চির কৃতজ্ঞ।
- Home
- সত্য ধর্ম্ম গ্রন্থ
- সংবিধান
- দীক্ষার্থি
- _দীক্ষার্থির আবেদন পত্র
- _দীক্ষার্থির নাম
- আবেদনপত্র
- _সদস্যপদের আবেদন
- _সদস্যপদের পুনঃনবীকরণ
- _উৎসবের জন্য আবেদন
- শাস্ত্রপাঠ
- প্রচার
- _সত্য প্রচার
- _সত্য-ধর্ম্মের মূল উদ্দেশ্য--
- _প্রশ্নোত্তর পর্ব
- _-
- সত্য-ধৰ্ম্মের বাণী
- _গুরুদেবের বাণী
- _ঈশ্বর নিবারণের (মাতাজী) বাণী
- _আদিষ্ট নিরুপমের বাণী
- _শ্রীমতী "ম" এর বাণী
- _মা আদরমণির বাণী
- _অন্যান্য মহাত্মাদিগের বাণী
- উৎসব
- _শ্রাবণোৎসব
- _শিশিরোৎসব
- _শরদূৎসব
- _মিলনোৎসব
- _মধূৎসব
- _বসন্তোৎসব
- _জন্মোৎসব
- বিশেষ অনুষ্ঠান
- _মহাত্মা মহিমচন্দ্র ও নিবারণের আবির্ভাব
- _সত্যধর্ম্ম প্রকাশ দিবস
- _মহাত্মা মহিমচন্দ্রের তিরোধান
- _মহাত্মা মহিমচন্দ্রের তিরোধান
- _মহাত্মা নিবারণের তিরোধান
- _মহাত্মা গুরুনাথের তিরোধান
- _মহাত্মা আদরমণির তিরোধান
- _মহাত্মা আদরমণির আবির্ভাব
- _অষ্টপ্রহর গুণকীর্ত্তন
- _-
- গুরুপূজা
- _গুরু আরাধনা
- _গুরুবরণ
- _গুরুপ্রসঙ্গ
- ছবি
- _মহাত্মাদের ছবি
- _উন্নত সাধক সাধিকার ছবি।
- _ক্যালেন্ডার
- অনুক্রম
- _ দৈনিক উপাসনা
- _সাপ্তাহিক উপাসনা
- _উপাসনা প্রণালী
- _উৎসব নির্ঘন্ট
- Contact
- _Join Telegram Channel
0 মন্তব্যসমূহ