সত্যধর্ম্ম একত্ব প্রাপ্তের ভূমি।

এতদিনে এটা জানত কজন ? একত্ব না পেলে এটা বলার মত যে সৎ সাহস থাকে না এটা পৃথিবীতে আজ প্রকাশ হলো।যাদের চোখ নেই আয়না তাদের কাছে মূল্যহীন।অজ্ঞান ব্যক্তির শাস্ত্র কোন কাজে আসে না।বইয়ে আছে তো সবই সেই রত্নকে ধারন করে সবাইকে কেবল মুক্তির পথ দেখাচ্ছেন।সেটা যাচাই করে দেখার মত মানসিকতাও হচ্ছে না !!! এটা কষ্টের,কারন সত্যধর্ম্ম কেবলই দিতে জানে, নেওয়ার জন্য এগিয়ে আসুন।আর এতগুলো গুণে সিদ্ধি প্রাপ্ত হয়ে দীক্ষা দেওয়ার ক্ষমতা তৈরি হয় তা প্রত্যক্ষ করলে অবাক হতে হয়। সেগুলো কারোর মধ্যে দেখেছেন এখনও? পথপ্রদর্শক সঠিক না হলে সঠিক পথে পরিচালিত হবেন কিভাবে?যতই বলা হোক। অবশ্যই দেখেননি তাই যাকে তাকে আপনাদের মহাত্মা মনে হয়।বর্তমান আদীষ্টের পূর্বে মহাত্মা নিবারণ একত্ব অর্থাৎ ব্রহ্মদর্শন করেছিলেন।সমদর্শন সাধনার প্রথম সোপান,যারা দীক্ষা এবং নামের তফাৎ বোঝেনা তাদের অনুরোধ করছি এগিয়ে আসুন চাওয়া পাওয়া নিয়েই আসুন। সেগুলো পাওয়ার জন্য গুরুবাক্য পালন করবেন তারপর তো বিশ্বাস হবে !

গুরুদেব এঁর দর্শন পেতে চান এমন কেউ আছেন? আমাদের এখানে প্রবর্তক গুরুর কৃপায় অনেকে ঈশ্বর গুরুনাথ এঁর দর্শন পেয়েছে।নিজে সাথে গিয়ে দর্শন দিয়েছেন। লিখিত কথা দিয়েছেন"তোমার এই দিন এই সময় গুরুদেব এঁর দর্শন হবে"।যার হয়েছে সে নিজে জানিয়েছে।সবাই এখনও জীবিত এসে জেনে নিন। সত্য ধারনে এত ভয় কেন ? কিসের এত সংকোচ? সত্যের বাইরে কি পাবেন আপনারা জীবনে? পরমপিতা তো সত্য স্বরূপ।সেই সত্যকে মানতে না পারা চরম অপরাধ। সৌভাগ্য আমাদের জানতে পারছি।নইলে এতদিনে সত্যধর্ম্মের পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিত। আত্মোন্নতি না করতে চাওয়া মানেই নরকগামী হওয়া।কেন হতে দেবেন নিজেদের সাথে এত সুন্দর পথের সন্ধান পেয়েও।
সত্যধর্ম্মের নিয়ম অনুসারে দেবদেবী গণ কিন্তু একত্ব প্রাপ্ত নন।প্রথমে অষ্টপাশ ষড়রিপু নিয়ে পাশে আবদ্ধ হয়ে জন্মগ্রহণ করতে হয়। আত্মার উন্নতি অর্থাৎ গুণ অর্জন দ্বারা ক্রমান্বয়ে পশুত্ব থেকে মনুষ্যত্ব, মনুষ্যত্ব থেকে দেবত্ব, দেবত্ব থেকে পরমপিতার কোন একটি গুণে একত্ব বা ঈশ্বরত্ব এবং নিত্য পরমপিতার দর্শনে মুক্তি লাভ হয়। এভাবে পূর্ণ সত্য উন্মোচিত হয় যার ফলস্বরূপ সত্যধর্ম্ম আবিষ্কৃত হয়েছে।
আমি পাশবদ্ধ পশু এটা স্বীকার করা পশুত্ব।আমাকে এগুলো নিয়ন্ত্রণ করে মানুষ হতে হবে,এই সত্যকে কিঞ্চিত বিবেচনা পূর্বক উপলব্ধি করতে পারা মনুষ্যত্ব।আর কাম,ক্রোধ,লোভ, মদ, মাৎসর্য্য ইত্যাদি থেকে মুক্তি পাওয়ার অভ্যাসে যত্নশীল হওয়ার পর্যায় দেবত্ব। গুরুদেব নিত্য পরমপিতার দর্শন লাভ করেছেন।কত কত গুণে তিঁনি একত্ব পেয়েছেন নইলে এই সত্যের পথ কেউ দেখায়নি কারোর দেখানোর সাধ্যও নেই। দেবদেবী আছেন যত,তাঁর গুণের কাছে সবাই নত।*তিঁনি দেবদেবী তৈরি করেন*। দেবদেবীর থেকে উন্নত একত্ব অর্থাৎ ব্রহ্মদর্শন বা ঈশ্বরত্ব তাও তিঁনি পাইয়ে দিতে পারেন।সেই অশেষ গুণসম্পন্ন গুরুদেব।আর কি চাই আপনাদের?কিসের অভাব?কার পূজা করবেন! গুরু পূজা করলে আর কারোর পূজা করার প্রয়োজন হয়না।তাহলে একই আসনে গুরুদেব এঁর পাশে কল্পনা করে দেবদেবীদের যে মিথ্যা রূপ দেওয়া হয় সেই ছবি বা মূর্তি কিকরে রাখা যায়?এতে যে ঘোরতর পাপ হয়!দয়া করে একটু বুঝতে চেষ্টা করুন।🙏

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ