দীক্ষা ও নাম এক নয়।


 

দীক্ষা এবং নাম এর মধ্যে বিস্তর পার্থক্য রয়েছে।শব্দ দুটি যেমন আলাদা তাদের অর্থও পৃথক। সত্যধর্ম্মের আবিস্কারক ঈশ্বর গুরুনাথ সেনগুপ্ত তিঁনি "সত্যধর্ম্ম" বইয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত লিখেছেন যেটি একমাত্র সত্য অর্থাৎ নিত্য, অপরিবর্তনীয়।

নাম বলতে পরমেশ্বর এঁর যেকোন গুণবাচক শব্দ যেটি প্রকাশ্যে সর্বসম্মুখে জানানো যায়।যেমন পরমপিতার আরেক নাম প্রেমময়,দয়াময়, করুণাময়, কৃপাময় ইত্যাদি। পৃথিবীতে যত শব্দ আছে সবই প্রণব ধ্বনি থেকে সৃষ্টি হয়েছে।সবই তাঁর নামের প্রকার।

তাই সত্যধর্ম্ম বইয়ে ঈশ্বর গুরুনাথ "ওঁং সত্যং পূর্ণমমৃতং ওঁং" সর্বসাধারণের জন্য এই মন্ত্রটি লিপিবদ্ধ করেছেন যা পরমপিতার গুণবাচক শব্দ কেবল।বর্তমানে কিছু তথাকথিত,আংশিক বা বলা যায় অসম্পূর্ণ সত্যধর্ম্ম অবলম্বী ব্যক্তি যারা পৈতৃক সূত্রে বংশপরম্পরায় নিজেদের সত্যধর্ম্মী মনে করে অথচ প্রকৃত সত্য পালনে অসমর্থ তারা এই নামকে দীক্ষা ভেবে মূল বিষয় থেকে বিচ্যুত হচ্ছে।


কয়েক বছর যাবৎ বর্তমান আদীষ্ট সাধক নিরুপম যিঁনি গুরু হওয়ার উপযুক্ত গুণাবলী সম্পন্ন।২০১১ সালে সত্য গুণে পরমপিতার দর্শন লাভ করেছেন। সত্যের উৎকৃষ্ট সাধক হয়ে আদীষ্টের দায়িত্ব পালনের জন্য সত্য গুণে ব্রহ্মদর্শন আবশ্যক।গুরুদেব এঁর যতপ্রকার সিদ্ধি ছিল তিনি নিজে তার প্রমাণ দেখিয়েছেন সিদ্ধির মাধ্যমে।যেসকল ব্যক্তিকে তিঁনি পাপগ্রহণ, অভেদ জ্ঞান পূর্বক বৈজীক ভাষায় দীক্ষা দিয়েছেন তারা স্বহস্তে নিজেদের কৃপার কথা লিখে জানিয়েছে দিন,তারিখ, সময়ের উল্লেখ সহ।

বৈজীক ভাষায় দীক্ষা না পেলে সত্যধর্ম্মে প্রবেশ ঘটে না।যে বীজে পরমপিতা থেকে আমরা এই পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করেছি সেই বীজের মধ্যে আমাদের বৈশিষ্ট্য সঞ্চিত আছে এই মুক্তি বীজ সবার ক্ষেত্রে ভিন্ন হয়।যেমন একটি ফলের বীজ অন্য আরেকটি থেকে আলাদা।এই সত্য যতদিন না মনে প্রাণে গ্রহণ করা যাবে ততদিন সত্যধর্ম্মের কোন বিষয়ই অন্তরস্ত হবে না;ফলপ্রসূ হবে না।আর দীক্ষা পাওয়ার পর কিঞ্চিত উপাসনা সাধনা করলে অবশ্যই সে প্রমাণ পেয়ে যাবে সে সঠিক বীজমন্ত্র পেয়েছে কিনা।সেই দায়িত্ব গুরুর। তিঁনি উন্নতির চরম সীমা অতিক্রম করেছেন এবং জন্ম জন্মান্তরে শিষ্যের বীজের মধ্যে থাকা বৈশিষ্ট্যের উন্নতি করানোয় সর্বদা ব্যাকুল হয়ে আছেন। বীজের যে অর্থ তা পরমেশ্বর এঁর গুণ সেই কোন একটি গুণের অভ্যাস করে ব্রহ্মদর্শন করাকে একত্ব লাভ বলা হয়।তখন সেই ব্যক্তি ওই গুণের ঈশ্বর শব্দে কথিত হন।ওই গুণের সত্যতা এবং অস্তিত্ব সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান লাভ করেন। সত্যধর্ম্মের নিয়ম অনুযায়ী একটি গুণে একত্ব পাওয়ার পর সেই কৌশল দ্বারা নিত্য পরমপিতার দর্শন অর্থাৎ নিত্য ব্রহ্মদর্শন প্রাপ্ত হতে হয়।যদিও এটি আত্মোন্নতির অতি উন্নত পর্যায়।তবে দীক্ষা এবং নাম যে এক নয় এই সত্য জানা বিশেষ ভাবে প্রয়োজনীয়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ