সত্য পবিত্র।








সত্যধর্ম্ম পরমপিতার একমাত্র অভিপ্রেত ধর্ম্ম অর্থাৎ পরমপিতা সত্যস্বরূপ। সত্যধর্ম্ম শুদ্ধ ও পুত পবিত্র। পৃথিবীতে অন্যান্য ধর্ম কয়েক হাজার বছর পুরনো কিন্তু সে তুলনায় সত্যধর্ম্ম মাত্র কয়েকশত বছরের। ধর্ম্ম মন্থনের মাধ্যমে প্রকৃত সত্য উন্মোচন মানব সভ্যতায় সৃষ্টির মূল উদ্দেশ্য। এই সৃষ্টির রহস্য উন্মোচন করবার জন্যই নানান ধর্ম্ম গবেষণা করে চলেছে যুগ যুগ ধরে। নানান ধর্মের গবেষণার গবেষক হিসাবে উন্নত মহাত্মারা এই পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করেছেন এবং নিজেদের চেনার চেষ্টা করেছেন পরবর্তীতে তার মধ্যে থেকেই সত্যকে জানার চেষ্টা করেছেন। ১৮৮৫ সালের ২০ শে অক্টোবর এই পৃথিবীর মঙ্গলের নিমিত্ত নানান ধর্ম্মের গবেষণার ফলস্বরূপ প্রকৃত সত্য আবিষ্কার করলেন মহাত্মা গুরুনাথ। সেই সত্যধর্ম্মের নিয়ম তিনি নিজে পালন করে লিপিবদ্ধ করে রেখেছেন যা আজ পর্য্যন্ত কোন ধর্ম্মের মহাত্মাগণ নিজহস্তে লিপিবদ্ধ করে রেখে যেতে পারেননি, তাই পরবর্তীতে তার শিষ্যগণ ধর্ম্মের প্রকৃতার্থ অনুধাবন করতে না পারার জন্য বিকৃত ধর্ম্মের রূপ দিতে থাকে যা পরবর্তীতে হিংসায় রূপান্তরিত হয়। সত্যধর্ম্মের ক্ষেত্রে সেটা সম্ভব না, এটা বোধহয় কেউ বোঝেনি এতদিন ধরে। দিনের পর দিন অজ্ঞানতার কারণে ঐরূপ ভুল ব্যাখ্যা করে নিজের মতন করে পরিচালনা করতে গিয়ে বারবার মুখ থুবড়ে পড়তে হচ্ছে কারণ সত্যধর্ম্মের নিয়ম লিপিবদ্ধ আছে বলে তাকে নাড়ানো সম্ভব না। এরজন্য বারবার সংগঠন ভাগ হয়েছে। এটা বোধের বাইরে যে,পরবর্তী জেনারেশন বিজ্ঞানমনস্ক তারা এসে প্রশ্ন করলে তার উত্তর দিতে না পারার জন্য মান সম্মান কিছুই থাকবে না,তাই সবাইকে সাবধান করছি। সত্যধর্ম্মের যে নিয়ম তা সুচারুরূপে পালন করবার জন্য আহ্বান জানাই। এভাবে যারা গুরুবাক্য লঙ্ঘন করছে দিনের পর দিন তারা একদিন বিলুপ্ত হবে। এগুলো একত্রিত হয়ে ঠিক করা অতি সহজ কেননা একটা বিষয় ত একমত হবে, সত্যধর্ম্মের নিয়ম ও গুরু বাক্য পালন করা প্রধান। পরম্পরায় কি হয়েছে কারা করেছে এগুলোর জন্য মানসম্মানের কথা চিন্তা করা উচিৎ কেননা সব লিপিবদ্ধ আছে তাই ভুল দেখলে বলবে একদিন।


ধর্ম্মের মূল বৈশিষ্ট্য তার নিয়ম পরিকাঠামো। মহাত্মা গুরুনাথ চলে যাওয়ার পর থেকে অজ্ঞানতার কারণে সত্যধর্ম্মের মূল ভাব নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। সত্যধর্ম্ম আমাদের একটি গৃহ এই গৃহে এতদিন বহু জঞ্জাল স্তুপে পরিণত হয়ে গিয়েছিল তাই আমাদের সকলের জ্ঞানের দ্বারা ওই জঞ্জাল পরিষ্কার করে এই পৃথিবীতে পুরস্কার স্বরূপ উপস্থাপন করা আমাদের কর্ত্তব্য। তাই সকলকে বলছি "সত্যধর্ম্মের অন্তরায়" অনুরূপ যে যে অরাজকতা হয়েছে তাকে পুনরুদ্ধার করে প্রকৃত সত্য পবিত্র আকারে রক্ষা করা দরকার। সেই কাজটাই "গুরুনাথ সত্য ধর্ম মহামন্ডল কেন্দ্র" করে যাচ্ছে। মহাত্মা গুরুনাথ এই সত্যধর্ম্ম যেভাবে প্রচার করেছিলেন সেভাবে আমাদের প্রচার করতে হবে কেননা গুরু বাক্য লঙ্ঘনই পাপ। এই পাপের কাজ আর কতদিন চলবে?

 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ