সত্যের আবিস্কারক ঈশ্বর গুরুনাথ।






"যে ধর্ম্ম সত্য অর্থাৎ নিত্যকাল-অনন্তকাল বিদ্যমান ছিল,আছে ও থাকিবে;যে ধর্ম্ম সত্য অর্থাৎ যথার্থ বিষয় সমূহে পরিপূর্ণ;যে ধর্ম্ম সত্য অর্থাৎ সত্যস্বরূপ পরমপিতার একমাত্র অভিপ্রেত এবং যে ধর্ম্ম সত্য অর্থাৎ অসৎকে সৎ করে, তাহাকেই সত্যধর্ম্ম কহে"। 
                                ঈশ্বর গুরুনাথ
                               (সত্য-ধর্ম্ম বই)।
পরমপিতা সৃষ্ট বিশ্বব্রহ্মান্ডের সকল বিষয় গুণের মাধ্যমে আন্তঃসম্পর্ক যুক্ত। প্রতিটি বিষয় কি জীব কি জড় সবেতেই সৃষ্টিকর্তার অনন্ত গুণের সত্ত্বা বিদ্যমান কারণ তিনি অনন্ত অনন্ত অনন্ত গুণের সমষ্টি। প্রাণীজগতে আমারা যারা নিজেদের মানুষ বলে মনে করি, সাধারণ ভাবে সবাই একটা ধারনা পোষন করে যে অন্যান্য জীবের তুলনায় আমাদের কিছু অতিরিক্ত বৈশিষ্ট্য থাকে যার দরুন আমাদের ব্যাক্তি স্বাধীনতা এবং ইচ্ছেশক্তি থাকলে অভ্যাস দ্বারা গুণ অর্জন করতে পারি। পরমপিতা জন্মসূত্রে আমাদের কাম,ক্রোধ,লোম,মদ, মাৎসর্য্য ইত্যাদি ষড়রিপু দিয়েছেন যার অপব্যবহারে আমরা আসলে পাশবদ্ধ পশু।এই পশুত্ব থেকে মনুষ্যত্ববোধ তৈরি করার পথ ঈশ্বর গুরুনাথ আবিষ্কার করেছেন।এই পথ দেখানোর মতো বিশেষ সাধ্য অন্যান্য মহাত্মাগণের হয়নি।তাই তিনি সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ। পরমপিতার পরেই তার আসন।
                       
এই সত্য পৃথিবীবাসীকে জানানোর জন্য বর্তমান সত্যধর্ম্মের আদীষ্ট নিরুপম জীবনকে উৎসর্গ করেছেন। উদ্দেশ্য একই-স্বল্প আয়ু মানবের উদ্ধারের উপায় জানানো।যে বীজে আমরা পরমপিতা থেকে জন্মগ্রহণ করি সেই বীজের মধ্যে আমাদের বৈশিষ্ট্য সঞ্চিত থাকে। সৃষ্টির নিয়মে উদ্ভিদ এবং প্রাণী এভাবে সৃষ্টি হয়।যিনি অনন্ত ভাবে পরমিতাকে লাভ করেছেন, সত্য গুণে ব্রহ্মদর্শন করেছেন তিনি আদীষ্ট হয়ে সেই মুক্তি বীজ জানাতে পারেন।জন্ম জন্মান্তরে এই বীজের কোনরূপ পরিবর্তন হয়না।ওই বীজের মধ্যে থাকা গুণাবলীর সাধনা উপাসনার মাধ্যমে গুণ অর্জন করে সৃষ্টিকর্তাকে দৃঢ়ভাবে জানতে পারলেই মুক্তি সম্ভব।
গুরুদেব এঁর পর থেকে অজ্ঞানতার বশে সত্যধর্ম্মের মধ্যে যে যে মিথ্যাচার ঘটেছে,যার রেশ বর্তমানেও ঘটে চলেছে। সেগুলি গুরুদেব এঁর লেখনী দেখিয়ে বর্তমান আদীষ্ট জঞ্জাল মুক্ত করে
শক্তহাতে প্রতিহত করেছেন,অতি যত্নসহকারে মূল সত্য বোঝানোর কার্য করে চলেছেন।প্রকৃতপক্ষে তিনি মানুষ তৈরির কারিগর হয়ে বিরামহীন ভাবে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
গুণ তো সহজে প্রবেশ করে না তাই যারা সত্যকে অবলম্বন করতে ভীরুমনভাবাপন্ন, সত্য ধর্ম্মের নিয়মকে পরোয়া না করে গুরুদেব এঁর ছবির সামনে বসেপরমপিতার উপাসনা করা, মিথ্যা কল্পিত দেবদেবীর ছবিমূর্তিতে পূজা করা, সত্যে পূর্ণ গুরুদেব এঁর পাশে সেইসব মূর্তি রাখে, সামান্যতম যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও বর্তমান যুব সমাজকে সত্য ধর্ম্মের সকল নিয়ম শৃঙ্খলা জানতে বাঁধা দিয়ে নিজেদের মাতব্বরি এবং পদের লোভে দীক্ষা ও নামের মধ্যে একটি নোংরা খেলায় মত্ত হয়েছে। সত্যধর্ম্ম বইয়ে থাকা পরমেশ্বর এঁর নাম বাচক শব্দ- "ওঁং সত্যং পূর্ণমমৃতং ওঁং" কে দীক্ষা বলে বিপথগামী করছে।"উপাসনা খন্ডে" লিখিত উপাসনা প্রণালীকে অবজ্ঞা করে নিজেদের মত ফাঁকিবাজি উপাসনার নিয়ম তৈরি করেছে,ধ্যানের মত মূল্যবান বিষয়কে গুরুত্ব দেয়নি ইত্যাদি ইত্যাদি। মহাত্মা নিবারণ যাদের দীক্ষা দিয়েছিলেন তাদের অনেকের পাপবোধ ছিলো না, পৈতৃক সূত্রে তাদের থেকে এই বিষয়ে সঠিক তথ্য জানা যাবে না এটাই স্বাভাবিক।তারা শেষের কজন ব্যাক্তি যাদের সত্যধর্ম্ম বিষয়ে জানানোর ভার দেওয়া হয়েছিল তাদের কথাকেই এতবেশি গুরুত্ব দিয়ে ফেলেছে যে গুরুদেব এঁর লেখনী তারা পড়ে দেখতে চায়না। বর্তমান আদীষ্টের দয়ায় বাধ্য হয়ে বইয়ের পাতা খুললেও সেই সত্যকে অবলম্বন করতে পারছে না কারন উপাসনা এবং গুণের অভ্যাস ছাড়া আত্মায় গুণ প্রবেশ করে না।যে যেই মুহুর্তে এই সত্যকে কিঞ্চিত উপলব্ধি করতে পারবে তখন থেকে তার সুদিন আগত হবে নইলে বিষকে অমৃত মনে হবে,সানান্য নুড়ি পাথরকে অমূল্য রত্ন মনে হবে এভাবে ফলস্বরূপ বর্তমানে একজন গুরু হওয়ার উপযুক্ত গুণাবলী সম্পন্ন আদীষ্ট থাকা সত্ত্বেও যার বিনিময়ে নিখিল বিশ্ব তুচ্ছ সেই মুক্তি বীজ, দীক্ষারূপ পরমজন্ম থেকে বঞ্চিত হবে।সকলকে আহ্বান জানাই সহজজ্ঞান, নির্ভরতা এবং বিশ্বাস সহকারে যাচাই পূর্বক এই পথ লাভ করুন, ঈশ্বর গুরুনাথের অশেষ গুণ সম্পর্কে জানুন।ভক্তি বিনা এই পার্থিব জগতে মুক্তি নেই সেই ভক্তি এতদিনে কেউ করতে পারেনি। আসুন আমরা নতশিরে তার স্নেহছায়ে সুন্দর এই পৃথিবীতে সুন্দর হয়ে বাঁচতে শিখি।

 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ