পুনর্জন্ম।



 

প্রথমে আমাদের বুঝতে হবে,দেহ এবং আত্মা এক বিষয় না।দেহ যদি আত্মা হতো তাহলে দেহ থাকাকালীন মৃত্যু হতো না।ক্ষিতি,অব,তেজ,মরুৎ,ব্যোম এই পঞ্চভূতের সমষ্টি দ্বারা আমাদের দেহ সৃষ্টি হয়েছে।আর আত্মার মূল চৈতন্যশক্তি। সৃষ্টিকর্তা এই দেহে প্রাণ সঞ্চার করেন।
সব আত্মার পুনর্জন্ম হয়না। পরলোকে গিয়ে উন্নতির আকাঙ্খা প্রকাশ করলে বা ইহলোকে গুণের অভ্যাসের রেশ থাকলে সেই আত্মার পুনর্জন্ম হতে পারে।উন্নত মহাত্মার ইচ্ছানুযায়ী পুনর্জন্ম হতে পারে তার জীবনের কোন মহত কার্য সম্পাদন করার উদ্দেশ্যে।
মাতৃগর্ভে প্রবেশ করা মানেই পাপে লিপ্ত হতে হয় কারন জন্ম জন্মান্তরের ভুল ত্রুটি এবং রক্তের মাধ্যমে বয়ে নিয়ে আসা বাবার দিকের সাতজন এবং মায়ের দিকের পাঁচজন পূর্বপুরুষ এর পাপের বৈশিষ্ট্য জীনগতভাবে রয়ে যায়। সেগুলো থেকে গুণের অভ্যাস দ্বারা মুক্তি পাওয়ার উদ্দেশ্যেই পুনর্জন্ম।এই বিচারে একটি শিশু কখনই নিষ্পাপ না। সবাইকে পাপ নিয়ে আসতে হয়, কেবল পরিমাণের পার্থক্য।
একটি শিশু ঘুমের ঘোরে হঠাৎ পূর্বজন্মের বিরহ যন্ত্রনায় কেঁদে ওঠে আবার আনন্দে হেসে ওঠে। জন্মগতভাবে বিকলাঙ্গ হওয়া দেখে আমরা বুঝতে পারি পূর্বজন্মের পাপের ফলে তা হয়েছে।আয়ু থাকা সত্ত্বেও কোন কারনে মৃত্যু ঘটলে তার পুনর্জন্ম হতে পারে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ