প্রকৃতি।







প্রকৃতি হল বাহ্য জগতের অভিজ্ঞতা। আমাদের দেহ পঞ্চভূতের দ্বারা সৃষ্টি হয়েছে এই সৃষ্টি মন্ডলের মূল বৈচিত্র্য কোমল গুণ। প্রকৃতি কোমল গুণের আধার তাই তাকে মা বলা হয়েছে । কিন্তু যখন অভিজ্ঞতা শব্দটি ব্যবহার হয়, তুমি যদি এই প্রকৃতি সম্পর্কে না জানতে পারো যে প্রকৃতি আমাকে সৃষ্টি করেছে তখন এই জ্ঞান হয় যে তিনি সৃষ্টি না হলে আমি হতাম না। প্রকৃতি আমাদের মা,প্রতি মূহুর্তে তিনি আমাদের লালন পালন করছেন,তার স্নেহ কোলে আমাদের পরিচর্যা করছেন।বায়ু,জল,খাদ্য, পোশাক, বাসস্থান সমস্ত প্রয়োজন মেটাচ্ছেন।

এটি একটি প্রাথমিক অভিজ্ঞতা এর আরও গভীরে প্রবেশ করলে প্রকৃতির গুণকে আমরা বুঝতে পারবো এর ফলে আমরা ব্যাকুল হতে পারবো, একাগ্রতা, ভক্তি,শ্রদ্ধা, বাড়বে তার প্রতি কৃতজ্ঞতা বোধ তৈরি হবে।তিনি হচ্ছেন মা,তাকে সবাই পিতা বানিয়ে বসে আছে।কারন- এই মনুষ্য সমাজ বৈচিত্র্যময় এই সমাজের ভাবকে আমরা কঠোর করে ফেলেছি কিন্তু আসলে তা কোমল গুণ।
বাহ্য জগতের অভিজ্ঞতাকে সূক্ষ্মভাবে মা বলা হয়েছে তার সঙ্গে গুরু মিলিত হয়ে যে সূক্ষ্ম জন্ম দেন সেটি দীক্ষারূপ পরম জন্ম,শ্রেষ্ঠ জন্ম অর্থাৎ পরমপিতাকে পাওয়ার জন্য যে জন্ম। পরমপিতা থেকে যে বীজের দ্বারা আমি সৃষ্টি হয়েছিলাম, যেমন আমগাছের বীজের মধ্যে সেই বীজের সমস্ত বৈশিষ্ট্য নিহিত থাকে।সৃষ্ট জগতের প্রতিটি বীজ পৃথক হয়।
সৃষ্টির কার্য্য ব্যাপ্তি করা। সৃষ্টিকর্তা তার ইচ্ছেশক্তি দ্বারা নিজেকে ব্যাপ্তি করেছেন।তাঁর অনন্ত অনন্ত অনন্ত গুণকে বিশ্লেষণ করতে শিখতে হবে। কঠোরকে কোমল দ্বারা নবভাবে কার্যে প্রবৃত্ত করানো যায়।

নারীদের আগে আধ্যাত্মিক এবং পার্থিব বিদ্যায় পারদর্শী করতে হবে।যে সমাজ নারী শিক্ষা দিয়েছে সেই সমাজ উন্নত হয়েছে। নারীদের যদি শিক্ষা দেওয়া যায় তাহলে পুরুষেরা আপন থেকেই শিক্ষিত হয়ে উঠবে কেননা মা হল একজন সন্তানের প্রথম শিক্ষিকা। মায়ের সত্যনিষ্ঠা থাকলে সেই সত্যের কালচার তার সন্তান বহন করবে।তাই নারী শিক্ষা প্রধান।যে সমাজ নারীকে অবজ্ঞা করেছে সেই সমাজ নারীর দ্বারা ধ্বংস হবে।এটি লয় বৃত্তান্ত পড়লে জানা যাবে। প্রকৃতির বিরুদ্ধাচারণ করলে তার পরিণতি ভোগ করতে হবে এটাই সৃষ্টির নিয়ম।
প্রাচীনকালে বৈদিক যুগে কয়েকটি প্রতিষ্ঠিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে উচ্চপদে নারীরা ছিলেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন অরাজকতা এবং নারী বিদ্বেষের কারণে পুরুষতান্ত্রিক সমাজ তৈরি হয়।

প্রকৃতি যে মা সেই গর্ভের প্রতি শ্রদ্ধা আমরা করতে পারছি ? ভক্তি কি করতে পারছি ? ভক্তি গুণটি আসলে কেমন ! কিভাবে তা প্রকৃতিতে বিরাজমান? আমাদের উচিৎ নারী সমাজকে সার্বিক শিক্ষার আলোকে উজ্জীবিত করা তাহলেই পৃথিবী সুন্দর হতে পারে। কারণ মাতৃ ভক্তি,মাতৃ উপাসনায় সন্তানের মুক্তি।।
 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ