গুরু মূর্ত্তি আরতি।


 

গুরু পূজা,যাহা বুঝ,তাহাই কর।

পূজার প্রধান উপকরণ ভক্তি, বিশ্বাস ও একাগ্রতা। তবে ধ্যানার্থে একবার গুরুর দর্শন আবশ্যক।যাহারা সে সুখে বঞ্চিত,তাহারা ছবি মূর্তি অবলম্বন করিতে পারে।

                                    ঈশ্বর গুরুনাথ।


"গুরু পূজা যাহা বুঝ,তাহাই কর"। এখন প্রশ্ন হলো আমাদের বোঝাবে কে ? প্রতি মূহুর্তে আমাদের ভক্তি সংকটে পতিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে কারন আমাদের নিজস্ব স্বাধীনতা এবং অষ্টপাশ ষড়রিপু তার বশে গুরু বাক্য লঙ্ঘিত হতে থাকে। গুরুতে ভক্তি যদি পুনঃ পুনঃ সুগঠিত হয় তাহলেই কেবল এই সঙ্কটময় পরিস্থিতি থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।

গুরুকে ভক্তি করার যে আনন্দ তার সামান্য বহিঃপ্রকাশ এই ১৭৫ তম জন্মোৎসব, আমাদের প্রবর্তক গুরুর বানানো গুরুদেব এঁর মূর্তির উন্মোচন এবং অভিষেক।

আমরা যাতে গুণী হতে পারি তার জন্য পরমপিতা কিছু পার্থিব উপকরণ এবং সৃষ্টি করেছেন যেগুলি ভক্তি বৃদ্ধির সহায়ক।যেমন ফুল,প্রদীপ, সঙ্খ, ধূপ, ইত্যাদী। বিশেষ কিছু আচরণ যেযন গুরুকে প্রদক্ষিণ,বাঁ দিকের পা স্পর্শ করে আবার প্রদক্ষিন করে ষষ্টাঙ্গে প্রণাম,আরতিও এই এই বিশেষ আচরণের অন্তর্গত।

এতদিনে সঠিক পথপ্রদর্শক এর অভাবে সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ গুরু ঈশ্বর গুরুনাথ কে কেউ জানতে পারেনি।

কয়েকজন তথাকথিত আংশিক সত্যধর্মাবলম্বী (আদীষ্ট দ্বারা বৈজীক ভাষায় দীক্ষা না পাওয়া ব্যক্তিগণ)----*সত্য-ধর্ম্ম বইয়ের তৃতীয় পরিচ্ছেদ, দীক্ষার প্রয়োজন, পৃষ্ঠা নং ১৫ এ এ বিষয়ে আগ্রহী ব্যক্তিগণ দেখে নিতে পারেন। তারা গুরুদেব এঁর আদর্শকে বিকৃত করে হিন্দু ধর্ম্মের নিয়মে চলছে এমনকি নিজেদের সত্য ধর্ম্মী বলে পরিচয় দিতে তারা ইতস্তত বোধ করে।

জগৎ এর উদ্ধারের একমাত্র পথ সত্য ধর্ম্ম।সেই সুমহান আত্মোন্নতির ধর্ম্মকে বিজ্ঞানসম্মত ভাবে যিঁনি আবিষ্কার করেছেন।সকল দেবদেবী যাঁর আজ্ঞাঅধীন সেই গুরুদেব কে কিভাবে পূজা করতে হবে একজন ব্রহ্মদর্শী সাধক বিনা শেখাতে অপারক।গুরু পূজায় ব্যার্থ হলে সত্য ধর্ম্মে থাকা বিড়ম্বনা মাত্র।তাঁর গুণ না জানলে প্রকৃত সত্য কে অন্তরস্থ করা যায় না।

তাই একত্ব না পেলে গুরু পূজা সম্পন্ন হয় না,গুরু ভক্তির সীমা অতিক্রম না করলে প্রেমময়ের অসীমের পরশ মেলে না।কি উপায়ে ত্রি সন্ধ্যা গুরু পূজা করলে মোহ দূর হয় গুরুদেব সব লিপিবদ্ধ করেছেন। বর্তমান আদীষ্টের কৃপায় আমরা সেই অমূল্য সম্পদ নিজেদের জীবনে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টায় রত হয়েছি। করতে হয় বলে আমাদের প্রবর্তক গুরু থেমে নেই,তিঁনি নিজে করেন এবং আমাদের দিয়ে করিয়ে নিচ্ছেন।এর জন্য তাঁর পরিশ্রম এর অন্ত নেই।আমরা সত্যি সৌভাগ্যের অধিকারী। গুরুকে ভক্তি করার সমস্ত পদ্ধতি আমরা প্রথমবার পেয়েছি তবে অযোগ্যতা বশত সেই রত্ন যেভাবে যত্ন করতে হয়,তাতে ত্রুটি থেকে যায়। যে কারনে পরমেশ্বর এঁর কাছে সর্বদা ক্ষমা প্রার্থী।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ