গুরু মূর্তি উন্মোচন ও অভিষেক


 



 




ভক্তি বিনা সাধন জীবনে মুক্তি অসম্ভব। আমাদের মধ্যে ভীষণভাবে কৃতজ্ঞতা বোধের অভাব, আত্মোন্নতির স্বার্থে গুরুর প্রতি নির্ভরতার অভাব।বহু মহাত্মাগণও ভক্তি গুণ এর পরাকাষ্ঠা লাভ করতে ব্যার্থ হন । সকল আত্মার গুণের তারতম্য থাকলেও ঈশ্বর গুরুনাথ, আমাদের পরমারাধ্য গুরুদেব ভক্তির যে সংজ্ঞা বা সূত্র লিপিবদ্ধ করেছেন আমরা যাতে সচেষ্ট হতে পারি,আত্মোন্নতিতে ব্রতি হতে পারি , বর্তমান সত্য ধর্ম্মের প্রচারক আমাদের প্রবর্তক গুরু প্রতিমুহূর্তে ডুবুরি হয়ে একের পর এক এক একটি মূল্যবান রত্ন সত্য ধর্ম্ম মহাসাগর থেকে আহরন করে আমাদের উপহার দিচ্ছেন যে বিষয়গুলি লিপিবদ্ধ করা আছে কিন্তু জ্ঞান এবং প্রেমের অভাবে এতদিন অগোচরে ছিলো। আমাদের আত্মোন্নতির জন্য,গুণ অর্জনের জন্য যা প্রয়োজন প্রবর্তক গুরু আমাদের সেই সঠিক পথে প্রবর্তন করছেন,নিজেকে সম্পূর্ণ উৎসর্গ করেছেন সত্য ধর্ম্মের ইতিহাসে যা দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।তাঁর অদম্য ইচ্ছা শক্তি প্রমান করেছে কেবল অর্থ থাকলেই হয় না,নিজের সবটুকু উজাড় করে গুরুর চরনে সমর্পন করতে হয়।

 




আমাদের পরম সৌভাগ্য যে বর্তমান আদীষ্ট আমাদের প্রবর্তক গুরু একজন শিল্পী তাই তাঁর সকল কর্মে সৌন্দর্য প্রকাশ পায়। বর্তমান সকলে গুরুত্ব না বুঝলেও ভবিষ্যতে সমাদৃত হবেই কারন গুণে আকৃষ্ট হয় না এমন কোন আত্মা নেই।

 




আমরা যেকজন অধম সন্তান প্রত্যক্ষভাবে দেখেছি কিভাবে তিঁনি দিনরাত বিরামহীন ভাবে মূর্তির বানানোয় নিয়োজিত থেকেছেন। শরীর চালাতে যেটুকু জল বা খাবারের প্রয়োজন কেবল সেটুকু নিজেকে দিয়েছেন।ঘন্টার পর ঘন্টা কেটে গেছে, কোন কাজেই প্রবর্তক তাঁর শারীরিক অসুস্থতাকে তেমন গুরুত্ব দেন না আর এ মহান কার্যের প্রভাব তো তাঁর অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে, অনেক ছোট থেকে প্রবর্তক গুরুর প্রাণপণ ইচ্ছে যে তিঁনি গুরুদেব এঁর মূর্তি তৈরি করবেন।

 




বর্তমানে গুরুদেব এঁর যে ছবিটি প্রসংশার দাবি রাখে সেটিও প্রবর্তক গুরুর আঁকা।যারা সত্য ধর্ম্মের নিয়মের বাইরে অরাজকতা করছে, বর্তমান আদীষ্ট কে সহ্য করতে পারে না, অকথ্য ভাষা বলে সত্য কে অবলম্বন করার যোগ্যতা নেই, গুরুদেব এঁর যন্ত্রনার কারন তারাও এই ছবি বা মূর্তি চাইলে নিতে পারে এটি প্রবর্তক গুরু ভীষণ উদারতার সহিত ঘোষনা করেছেন।

 




১৭৫ তম জন্মোৎসবের একেকটি দিন যেন আমাদের কাছে স্বপ্নের মতো মনে হয়েছে কারন আমাদের ভাবনার অতীত শৈল্পিক প্রতিভা না থাকলে সত্য কে বজায় রেখে রীতিমতো উপাসনার মধ্য দিয়ে এমন বর্ণময় উৎসব যাপিত করা অসম্ভব।তিথি অনুরূপ(অমাবস্যা)সকাল ৭.৩০ মিনিটে নির্দিষ্ট সময় ধরে যে সময় গুরুদেব ভূমিষ্ঠ হয়েছেন,তখন এই মূর্তি উন্মোচিত হয়েছে। উৎসব এর সমস্ত বিষয়ে প্রবর্তক গুরুকে ভাবতে হয়েছে ওই পরিশ্রম এর মধ্য দিয়ে।

 




একটা বিষয় আমাকে ভীষণভাবে ভাবায় প্রবর্তক গুরু ওরকম মূর্তির কাজ করছেন তার সাথে সাথে সবার সব সমস্যার সমাধান বলে দিচ্ছেন, কারোর পারিবারিক সমস্যা বা যা কিছু সমস্যা নিয়ে। আমরা ভুলে গেলেও সব বিষয় তিনি মনে করিয়ে দিচ্ছেন।আমরা ভালো নই একটু যদি ভালো হতাম এরকম আরো মূল্যবান সম্পদ পেতে পারতাম। কারন সত্য ধর্ম্মের কাজের পাশাপাশি তাঁকে আমাদের উপাসনা, আনুসঙ্গিক সব খেয়াল রাখতে হয়।অন্যায় করে অধঃপতন ঘটিয়ে কষ্ট দিতে থাকি। তবুও এত অল্প সময়ের মধ্যে মূর্তির কাজ তিঁনি সম্পন্ন করেছেন।

 




তাই আমরা যাতে গুরু ধ্যানে মগ্ন হতে পারি,সকল দুঃখ কষ্ট ভুলে একদৃষ্টে গুরুদেব এঁর মূর্তির দিকে তাকিয়ে অশ্রুসিক্ত হতে পারি,ওই বুকের উপর মুখ রেখে বেদনা সহ্য করে প্রাণ জুড়াতে পারি,,,, আমাদের প্রবর্তক গুরু সেই ব্যাবস্হা করে দিলেন। আহা ! কি আনন্দের বিষয়। ধন্য আমাদের প্রবর্তক গুরু, ধন্য তোঁমার আবির্ভাব।🙏

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ