পাশ মুক্তি




 পাশ মুক্তি:

                চারিদিকে ধর্ম্মের নামে যা চলছে,প্রায় সব মিথ্যা।ধর্ম্মের যে প্রকৃত উদ্দেশ্য তার বিজ্ঞানসম্মত মীমাংসা একমাত্র সত্যধর্ম্মে আছে।


জন্মসূত্রে আমরা সকলেই অষ্টপাশ ষড়রিপু নিয়ে জন্মগ্রহণ করি। তাদের কাছে আমরা পরাধীন। অষ্টপাশ ষড়রিপু আমাদের আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রাখে এবং পাপকর্মে লিপ্ত হতে ইন্ধন যোগায়, উন্নতির পথে বাঁধা সৃষ্টি করে।‌‌‌‌‌


"দূর্জয় রিপুদ্বন্দে অন্তরে বাহিরে,এ সংকটে ধ্রুব নেত্রে তুমি কর বিজয় দান"। ঈশ্বর চিন্তাই এই সংগ্রামে জয়ী হওয়ার সহায়ক।সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ গুরু ঈশ্বর গুরুনাথ সেনগুপ্ত বলেছেন "নাশপাশ দয়াল মম, আমি পাশবদ্ধ পশুসম পেতেছি জ্বালা বিষম"। তাহলে আমরা ঠিক কতটা নিম্নস্তরের সচেতনতার সহিত ভাবা উচিত !!!যারা পাশবদ্ধ পশু হয়ে জীবন যাপন করতে চায় তারা মিথ্যাচার করবেই।


পরমেশ্বর এঁর কাছে নারী, পুরুষ কোন ভেদ নেই, সকলে সমান তাই নারীগণ ও পাশমুক্ত হয়ে ঈশ্বরত্ব লাভ করতে পারেন।যেমন মা আদরমনী সরলতা গুণে পরমেশ্বর এঁর দর্শন লাভ করেছেন, ,বিশ্বময়ী দেবি প্রেম গুণে একত্ব পেয়েছেন, মহাত্মা মহিম চন্দ্রের স্ত্রী মঙ্গলাময়ী দেবী ব্রাহ্মন অর্থাৎ ব্রহ্মজ্ঞান সম্পন্ন।


পরমেশ্বর অর্থাৎ অনন্ত গুণময়, নিরাকার সৃষ্টিকর্তার গুণকীর্তন দ্বারা তাঁর গুণকে জানা এবং সাধনা দ্বারা গুণের অভ্যাস করে সাধ্যের মধ্যে আনার চেষ্টা করলেই আত্মার উন্নতি হতে থাকে ফলস্বরূপ পাশের উপদ্রব লোপ পায়।


অষ্টপাশ ষড়রিপুর বিচারে উন্নতির স্তর নির্বাচন করা সম্ভব।যথা-পশুত্ব-মনুষ্যত্ব-দেবত্ব-ঈশ্বরত্ব। দেবত্ব অর্জন করলেও পাশমুক্ত হওয়া যায় না। কেবল পাশ থেকে মুক্ত হওয়া যে প্রয়োজন সেই চেতনাবোধ জাগ্রত হয়। ঈশ্বরত্ব অর্থাৎ ব্রহ্মদর্শন এর আগের মুহূর্তে জীতেন্দ্রীয়তা আয়ত্ত হয়।কাম,ক্রোধ,লোভ,মদ,মাৎসর্য্য ইত্যাদি পাশ একত্ব প্রাপ্ত মহাত্মা যিঁনি ঈশ্বর শব্দে কথিত হন তাঁর বশিভুত থাকে।তিঁনি পরমানন্দ লাভে সমর্থ হন। এভাবেই গুণ অর্জন এর দ্বারা আত্মোন্নতির পরাকাষ্ঠা লাভের সুচারু ব্যাবস্থা সত্যধর্ম্মে বর্তমান।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ