আত্মাকর্ষক। Spirit cultivator

আত্মাকর্ষণ



গুরুদেব লিখেছেন পৃথিবীতে চারিদিকে যে আত্মাকর্ষণ শোনা গেছে তা সব‌ই ভ্রান্ত। একত্ত্ব প্রাপ্ত সাধক হলেই যে আত্মাকর্ষণ হবে তা নয়।আত্মাকর্ষণে দুটি গুণের কথা বলেছেন -- ১)পবিত্রতা ও )মূর্ত্তিমতী পবিত্রতা।    পবিত্রতা হয় কিন্ত মূর্ত্তিমতী পবিত্রতা খুবই কঠিন। আত্মার অসীমত্ত্ব সাধনা করতে পারলেই আত্মাকর্ষণ হবে।

আত্মাকর্ষণের একটি প্রমাণ গুরুদেব শেষের দিকে যখন চলে যাচ্ছেন তার আগের দিন রাত্রে মহাত্মা নিবারণ আত্মাকর্ষণ দেখানোর জন্য বলছেন।যাঁর একত্ত্ব হয়ে গেছে তিনি কি করে   আত্মাকর্ষণ দেখতে চাইলেন তাও আবার ঐ মহাত্মা কে?দেবত্ত্ব পার হয়ে একত্ত্ব হয়ে গেছে এবার বোঝা যাচ্ছে কতজন ভণ্ডামী করেছে?

উন্নত মহাপুরুষ জন্মগ্ৰহণ করেছে যৌবন যাঁর এখনো আসেনি।এমন আত্মার ভিতরে আত্মাকর্ষণ হতে পারে পারলৌকিক মহাত্মাদের কৃপা হলে ,হলেও হতে পারে।

মহাত্মা নিবারণের ছেলে মারা যাওয়ার  পরে আত্মাকর্ষণ হয়েছিল। একটি বাচ্চা মেয়ের ভিতরে হয়েছিল।ঐ মেয়েটির তখন যৌবন আসেনি।মেয়েটি উন্নত সাধিকা ছিল তখন ওর বাইরের জগৎ নোংরা হয়নি।ঐ টা সাধনা করে লব্ধ আত্মাকর্ষণ নয়।  ঐ মেয়েটির ইচ্ছাধীন আত্মাকর্ষণ হয়নি। ইচ্ছে করে আত্মাকর্ষণ করেছে তা নয়। 

আত্মাকর্ষক যে কর্ষণ করতে পারে তাকেই আত্মাকর্ষণ বলে। এইরকম ব্যক্তি কে হতে পারে ?একত্ত্ব প্রাপ্ত সাধক ছাড়া হবে না এটা তো অবশ্যই। একত্ত্ব প্রাপ্ত হলেই যে  আত্মাকর্ষণ হবে এটা প্রশ্ন ছিল সবার কাছে কেউ উঃ দেয়নি।মহাত্মা নিবারণ তো দেবত্ত্ব অর্জন করে পার করে একত্ত্ব হয়ে গেছে তারপরেও কেন মহাত্মা ভোলানাথ কে ডাকছে।

মহাত্মা ভোলানাথ সত্যনিষ্ঠার একজন দেবতা তিনি গুরু হ‌ইবার গুণ লিখেছেন তাহলে তিনি কি কখনো মিথ্যা ও কল্পনার কথা বলতে পারেন?নীখিল হীরা আষাঢ়ে গল্প ফেঁদেছে ঐ মহাত্মা মিথ্যা কথা বলবে?কল্পনা মাত্র‌ই মিথ্যা ,মিথ্যা মাত্র‌ই পাপস্পর্শ হয়।অন্যের স্বামীর সঙ্গে শুলে যে পাপ  হয় ঐ গুলো করলে সে পাপ হয় সেই গুলো করতে বলছে আষাঢ়ে গল্প ভণ্ডামী ?

আত্মাকর্ষক ব্যক্তি আত্মাকর্ষণ করতে পারে তাহলে সেই ব্যক্তি কেমন হতে পারে??নিত্য পরমপিতার দর্শন এবং আত্মার অসীমত্ত্ব সাধনা যিনি করতে পারেন তিঁনি আত্মাকর্ষণ করতে পারে নচেৎ সম্ভব নয় তাহলে মহাত্মা নিবারণ বলতো না মহাত্মা ভোলানাথ কে আনার জন্য।

সত্যধর্ম্মের জন্য যে কতোজন মহাত্মা কাজ করে তা বলে শেষ করা যায় না শুধু মাত্র কয়েক জন মহাত্মার নাম জানে আর জানে না। ঐগল্প শুনলে যন্ত্রনা হয় এতো মিথ্যাচারে পরিপূর্ণ। তারপরও আত্মাকর্ষণ খেলা দেখে এসেছি।সরল মানুষ গুলোকে ধর্ম্মের নামে ভণ্ডামি করানো।

একজন সাধক পুলিন বিহারী বিশ্বাস তাঁর সাথে দেখা করতে গিয়েছিলাম উঁনি যখন পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন তখন মিথ্যাচারের খেলা শুরু হয়েছে।ওনার‌ই নাতি প্রসাদ বলছে যাওনা ওখানে গিয়ে দেখো কি শুরু করেছে আত্মাকর্ষণ হয়েছে কি না। ওখানে গিয়ে দেখি মিথ্যাচার শুরু হয়েছে।

আত্মাকর্ষণে মহাত্মা ভোলানাথ একটি গান দিয়ে গেছেন "জগৎ গুরু গুরু নাথের জয় জয়" কতো বড়ো মিথ্যাচার শুরু করেছে । (পরমপিতা জন্ম দিয়েছেন এই সৃষ্টি মণ্ডলকে তাই তিনি পরাৎপর গুরু তিনিই হচ্ছে জগৎগুরু। গুরুনাথ কখনো জগৎগুরু হতে পারে না। পরমপিতা পরাৎপর গুরু ।পরমপিতার আর এক নাম গুরুনাথ।পরমপিতা থেকে সমস্ত নাম সৃষ্টি । প্রতিটি শব্দ তিনি ।শব্দ ব্রহ্ম তুমি উপলক্ষ্য মাত্র।

আত্মাকর্ষণ সত্য এই ধর্ম্ম লাভ হয়েছে আত্মাকর্ষণের মাধ্যমে। দর্শন কেমন হয় গুরু জানবে। তোমার দর্শন হয়েছে গুরু বলে দেবে ।না হলে তুমি যে ভণ্ডামি করেছ আবার আর একজন আদিষ্ট আসলে দেখিয়ে দেবে। মিথ্যাচার করলে ধরা পড়বেই। গুরুদেব যদি কোনো মিথ্যাচার করতো তাহলে ধরা পড়ে যেতো।

গভীর ভাবে পড়াশোনা করতে হবে ও গভীর থেকে গভীরতর ভাবে উপাসনা করতে হবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ