সত্যস্বরূপ। In fact.




গুরুদেব বলেছেন সর্বদা সত্য কথা বলিবে, মিথ্যা কথা বলিবে না।সর্বদা ইহা স্মরণ রাখিবে যে তোমরা সত্য স্বরূপের সন্তান।সেই সত্য স্বরূপের সন্তান হয়ে যদি তোমরা মিথ্যা আচরণ করো তাহলে তোমার বিবেক অন্তরে যে সত্য রয়েছে কোনটা সত্য কোনটা মিথ্যা তুমি যদি প্রকৃত দীক্ষিত হ‌ও তোমার মধ্যে সাড়া দেবে ।প্রথম সাড়া সত্যের দেয় তারপর মিথ্যা তোমাকে সত্য করতে দেবে না লড়াই করতে থাকো । তারপর মিথ্যা টাই করে ফেলো। কোনো কার্য করতে গেলে কোনটা সঠিক আর কোনটা সঠিক নয় বলে দেবে কিন্ত আমাদের ভিতরে যে স্বাধীনতা আছে ,স্বার্থসিদ্ধির জন্য জঞ্জাল ময় বুদ্ধির  বিকাশ হয় সেই বুদ্ধি কার্যকরী করে সত্যকে অবলম্বন করতে দেয় না। প্রথম সত্য সাড়া দেয় কিন্ত বিচার বিবেচনা নিজের। তখন এই কাজটি করা যাবে না এ টা করতে হবে তখন স্বার্থ সিদ্ধি চলে আসে। সব চাপ একসাথে চলে আসে।যখন গুরু স্মরণ করিয়ে দেয় তখন বলে হ্যা অনেক বিবেচনা করার পরে আমি ভেবেছিলাম এটা উচিত না এটা করা যায় না, বলা যায় না । 



ভিতরে সত্যস্বরূপ সাড়া দেয় যদি একবার ভাবা যায় এই সত্যকে আমি অন্তর থেকে অন্তরের ভিতরে  প্রতিষ্ঠা করবো। তাহলে সত্য তোমাকে প্রতিমুহূর্তে সাহায্য করবে।



মহাভারতে একটি বিষয় আছে সবসময় মিথ্যা কথা বলা যায় গুরুদেব ঐ মতের সমাদার করতে বারণ করেছেন মানে আদর করে বসাতে বারণ করেছেন। মিথ্যা মাত্র‌ই পাপস্পর্শ হয় জানবে, তুমি তো সত্য স্বরূপের সন্তান তুমি সত্যকে অবলম্বন করে চলো সত্য বলতেই যদি তোমার মত্যুবরণ ও করতে হয় তাই করো ।



অনেকেই মিথ্যা স্বার্থে এমনভাবে লিপ্ত বলে একজন কে বাঁচানোর জন্য মিথ্যা বলেছি ,তুমি বাঁচানোর কে? সত্যস্বরূপের সন্তান সবাই। অহংকার মিথ্যা দিয়ে তাকে বাচাচ্ছো ? না নিজেকে কলুষিত করছো?মিথ্যা ব্যবহার করানোর জন্য যে স্বার্থ তোমার ভিতরে রয়েছে সেই স্বার্থ দিনের পর দিন তোমাকে কলুষিত করে যাচ্ছে। সত্যকে উপলব্ধি করতে গেলে ঐ স্বার্থপরতা ত্যাগ করতে হয়।কারণ সে অহংকার করে বসে। কেমন অহংকার ! আমি তো বাঁচানোর জন্য মিথ্যা বলেছি, সেটা না অহংকার যাতে থাকে সেই স্বার্থের জন্য তুমি ব্যবহার করেছ ।জীবন টা কিভাবে পরিচালিত করতে হয় অন্তর থেকে অন্তর স্থলে বলে দেবে তুমি কিভাবে চলবে ।




অনেক সময় গুরু কে নিবেদনের কথা বলা হয়। গুরুকে যদি জুগুপ্সা দিয়ে দেওয়া যায় গোপন করবার ইচ্ছা গুরুর চরণে দিয়ে দিতে হয় তাহলে অতি সহজে গুরু কে নিবেদন করা হয় অতি সহজে পাপ মুক্ত হ‌ওয়া যায়। কাম ,ক্রোধ ,লোভ মোহ মদ মাৎসহ্য যেকোনো একটি কে অবলম্বন করা যায় তাহলে সব ঠিক করা যায় তার মধ্যে জুগুপ্সা যদি দেওয়া যায় গুরুর চরণে তাহলে পাপ হ‌ইতে মুক্ত হ‌ওয়া যায়। আমার ভিতরের গোপন কথা ভিতরে যে চোর আছে আমাকে মিথ্যা প্রবঞ্চনায় আমাকে কালো করে দিচ্ছে ।ঐ ছয় টা চোরের মধ্যে যদি যে কোনো একজন কে সাধু বানানো যায় তাহলে ঐ পাঁচটা চোর ও সাধু হয়ে যাবে কারণ জাতগুণ তো। যে ত্যাগী সেই সন্যাসী সেই সাধু সত্যকে সে নিজের সাধ্যের মধ্যে আনতে পেরেছে। তার প্রভাবে প্রভাবিত হয়ে ঐ পাঁচজন সাধু হতে বাধ্য।। নিজের ভিতরের সত্য সত্ত্বাকে জাগ্ৰত করতে হয়।তাকে সম্মান দিতে হয় প্রতিমুহূর্তে তার সাড়া উপলব্ধি করতে হয় । আমার ভিতরে পরমপিতা আছে সেই সত্যস্বরূপের সন্তান আমি সেই সত্যকে সম্মান করতে পারলেই পরমপিতা কে সম্মান করা হয়।তাই নিজেকে আগে ভালোবাসতে হবে। সেই সত্য কে যত্ন করতে পারলেই তুমি রত্ন হবে। 



বিবেকের ধার তৈরি করা যায় তাহলে অষ্টপাশ ষঢ়রিপু কে কাটা যায় তাই বিবেককে ধার করতে বলছি সত্য উপলব্ধির জন্য।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ