শিবের গুণাবলী।


  শিবের গুণাবলী।

  শিব কথার অর্থ শুভদিগের বিধাতা যিনি।

      প্রথমেই বলি কল্পনা মাত্রই মিথ্যা অতএব কোনওরূপ কল্পিত মূর্তি ব্যাবহার সত্যে নিষিদ্ধ, সুতরাং শিব অর্থাৎ ভোলানাথের কল্পিত ছবি বা মূর্তি ব্যাবহার করা হয়নাই।


   মহাত্মা ভোলানাথের গুণাবলী।

     ঐ যে শ্মশানবাসী মুক্ত  পুরুষ ভোলানাথকে দেখিতে পাইতেছ- যিনি নরনাশক কালসর্পকে উপবীতবৎ ধারণ করিয়াছেন, যিনি প্রাণান্তক হলাহলরাশি পীযূষের ন্যায় পরমানন্দে পান করিতেছেন, যিনি অসীমভাবে পার্থিব অভাবের অন্তিম সীমায় উপনীত হইয়াও অনুমাত্র আকুল হইতেছেন না, প্রত্যুত পার্থিব দ্রব্যজাতে পরিপূর্ণ গৃহী অপেক্ষায়ও 


 পরার্দ্ধাধিক পরমানন্দ সন্দেহে কালাতিপাত করিতেছেন, যিনি পাশরাশির সম্পূর্ণ লয়সাধন-পূর্ব্বক অত্যুজ্জ্বল জ্ঞানলোকে সমস্ত মেদিনী দ্বিতীয় দ্যুমণিবৎ প্রদ্যোতিত করিয়া, অন্যান্য গ্রহণক্ষত্রদিও প্রদীপ্ত করিতেছেন, যিনি সমদর্শনের চরমসীমা প্রাপ্ত হইয়া, ইন্দুর, সর্প ও অহিভুকর্ ময়ূর এবং বৃষ ও সিংহকে  


পরমেশ্বরের স্বাভাবিক বিরোধ পরিত্যাগ করাইয়া একত্রাবস্থিত করিয়াছেন, যিনি"হরগৌরী" ভাবে অষেশগুণভূষিতা পরমাসতী মহাদেবীর সহিত মিলিত হইয়া প্রেমের অভেদ-বোধের ও সোহং- জ্ঞানের পরাকাষ্ঠা, জ্ঞানান্ধ মেদিনী- বাসীর ভ্রমান্ধকার দূরীকরণার্থে প্রদর্শন করিয়াছেন, যিনি বিষ্ণুর সহিত"হরিহর" ভাবে মিলিত হইয়া প্রণয়ের চরম সীমায় উপনীত হইয়াছেন, যিনি শ্মশান,মশান,কুস্থান এবং ন্যাক্কারজনক বিষম দুর্গন্ধ ও সদ্গন্ধময় 


 চন্দনাদির সৌরভ ইত্যাদি বিপরীত পদার্থে সাম্যজ্ঞান- প্রকাশ- পূর্ব্বক পাশমুক্ততার পরমোৎকর্ষ- প্রকাশক উদাহরণ প্রদর্শন করিতেছেন এবং সঙ্গাভিলাষিণী কোচরমনীগণে অবিকৃতমনে সন্মিলিত হইয়া জিতেন্দ্রিয়তা, নিস্কামতা ও বিশ্বপ্রেমিকতা মানব হৃদয়ে অনুভূত করিয়াছেন, ঐ মহাত্মার- ঐ পৃথিব্যাদি কোটি কোটি মন্ডলে অপ্রাপ্য পরমাত্মার ঐ উন্নতি- ঐ গুণরাশি- ঐ ক্ষমতা, সমস্তই সাধনাপ্রভাবে হইয়াছে।

               -  মহাত্মাগুরুনাথ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ