কল্পনা অর্থাৎ মিথ্যা। মিথ্যা মাত্রই পাপ স্পর্শ হয় জানিবে।
এস্থানে গুরুদেব "কল্পিত দেবদেবীগণ পরিত্যাগ-পূর্ব্বক" অর্থাৎ উহা গ্রহণ করিতে নিষেধ করিয়াছেন।
কোনও মৃন্ময় বা প্রস্তরময় বিগ্রহকে প্রণাম করিবে না। -মহাত্মা ঈশ্বর গুরুনাথ সেনগুপ্ত। গুরুলিপি ২য় খন্ড ২৭ নং পৃষ্ঠা।
মৃন্ময় বা প্রস্তরময় বিগ্রহ-কে প্রণাম করিবে না--বলায়- " দেবদেবীর প্রতি ভক্তি করিবে না" --ইহা বুঝিও না। দেবদেবীর প্রতি প্রগাঢ় ভক্তি করিবে। -মহাত্মা ঈশ্বর গুরুনাথ সেনগুপ্ত। গুরুলিপি ২য় খন্ড ২৭ নং পৃষ্ঠা।
একমাত্র অদ্বিতীয় মঙ্গলময় ভিন্ন এবং গুরুদেব ব্যতীত অন্য কাহারও পূজা করিবে না। -মহাত্মা ঈশ্বর গুরুনাথ সেনগুপ্ত। গুরুলিপি ১ম খন্ড ১০৬ নং পৃষ্ঠা।
প্রয়োজনানুসারে দেবদেবীগণের পূজা করাও অকর্ত্তব্য নহে। তাঁহাদিগকে কখনই জগদীশ্বরের তুল্য জ্ঞান করিবে না। এই পূজা সূক্ষ্মভাবে কেবল মন্ত্রোচ্চারণ দ্বারা সম্পন্ন করাই সর্ব্বাপেক্ষা প্রধান। যাহারা তৎপক্ষে অসমর্থ, তাহারা "প্রতিমায়াং ঘটে" অর্থাৎ প্রতিমায়, ঘটে বা পটে ঐ পূজা করিতে পারে। কিন্তু ইহা অধমকল্প। আর এই শেষোক্ত প্রকার পূজার সময়ে যাহাতে দেবদেবীর আবির্ভাব হয়, এরূপ করিতে না পারিলে এ পূজায় বিশেষ কোনও ফল হয় না।
এ স্থানে কি বলিয়াছেন তাহা কেমন-
গুরুকে সর্ব্বপরি রাখিতে হয়। গুরুকে সংসারের সার করিতে হয়, যেমন একটি সংসার অন্তর আর একটি বাহ্যিক সংসার। গুরুকে হৃদয়ে রাখিতে হয়। ইহার পর প্রয়োজন কি করিয়া হইবে? অতএব প্রয়োজন আর রহিল না। "অকর্ত্তব্য নহে" কর্ত্তব্যের কথা তিনি বলেন নাই। আর সত্য অবলম্বনকারীগণের কর্ত্তব্য ও প্রয়োজন থাকিবে কি করিয়া? প্রায় সমস্ত পূজায় ঐরূপ দেবদেবীকে জগদীশ্বরের তুল্য জ্ঞান করিয়াই কার্য্য করিয়া থাকে ইহাতেও পাপ হইয়া বসে।
"এই পূজা সূক্ষ্মভাবে কেবল মন্ত্রোচ্চারণ দ্বারা সম্পন্ন করাই সর্ব্বাপেক্ষা প্রধান" যে দেবতা যে যে গুণে পারদর্শী তাঁহার যে বৈজিক শব্দ তাহাই তাঁহার মন্ত্র কিন্তু যে সব পূজা পদ্ধতির বই দেখিতে পাওয়া যায় তাহার ভেতরে ঐ দেবতা ভিন্ন অন্যান্য দেবদেবীর উল্লেখ আছে উহা কেন? এবং পরমপিতা পরমেশ্বরতো না করিলে তো চলেই না এ হেন পাপে পতিত রূপে রচিত। ঐ দেবতার প্রকৃত গুণ দুএক স্থানে আছে বটে কিন্তু প্রধান প্রধান বিষয় দেয়া হয় নাই কারণ উহাতে ঐরূপ রচনায় বিভ্রান্তি ধরা পরিয়া যাইবে বলিয়াই করা হয় নাই। ইহার উল্লেখ করিয়াছেন গুরুদেব পঞ্চম উদ্দেশ্যে। অতএব প্রকৃত মন্ত্র উদ্ধারে অসমর্থ। তাহারা "প্রতিমায়াং ঘটে পটে" অর্থাৎ প্রতিমায় ঘটে বা পটে ঐ পূজা করিতে পারে।
এ স্থানে করিবার কথা বলেন নাই বলিয়াছেন করিতে পার অর্থাৎ তোমার উপর ন্যস্ত হইল ইহার পর তোমার স্বাধীনতা তুমি কি করিবে তোমার বিষয়। ইহা করিলে অধমকল্প অর্থাৎ নিম্নস্তরের কার্য্য বোঝায় যেমন পাপকর কর্য্য। "আর এই শেষোক্ত প্রকার পূজার সময়ে যাহাতে দেবদেবীর আবির্ভাব হয়, এরূপ করিতে না পারিলে এ পূজায় বিশেষ কোনও ফল হয় না" কি করিয়া হইবে? আপনার নিকট একটি অন্যের ছবি ধরিয়া বলিলাম আপনার ছবি আপনি মানিয়া লইতে পারিবেন না তাহা হইলে কি করিয়া ঐ সত্যনিষ্ঠ দেবতা ঐ বিকৃতি ছবি বা মূর্তিতে আসিবে ভাবুন। সুতরাং প্রমাণ হইল উহা সত্যের অনুকূলে নহে। ঐ রূপ কাল্পনিক পূজা করিয়া অধঃপাতে যাইবার প্রয়োজন কি?
"এই পূজা সূক্ষ্মভাবে কেবল মন্ত্রোচ্চারণ দ্বারা সম্পন্ন করাই সর্ব্বাপেক্ষা প্রধান" যে দেবতা যে যে গুণে পারদর্শী তাঁহার যে বৈজিক শব্দ তাহাই তাঁহার মন্ত্র কিন্তু যে সব পূজা পদ্ধতির বই দেখিতে পাওয়া যায় তাহার ভেতরে ঐ দেবতা ভিন্ন অন্যান্য দেবদেবীর উল্লেখ আছে উহা কেন? এবং পরমপিতা পরমেশ্বরতো না করিলে তো চলেই না এ হেন পাপে পতিত রূপে রচিত। ঐ দেবতার প্রকৃত গুণ দুএক স্থানে আছে বটে কিন্তু প্রধান প্রধান বিষয় দেয়া হয় নাই কারণ উহাতে ঐরূপ রচনায় বিভ্রান্তি ধরা পরিয়া যাইবে বলিয়াই করা হয় নাই। ইহার উল্লেখ করিয়াছেন গুরুদেব পঞ্চম উদ্দেশ্যে। অতএব প্রকৃত মন্ত্র উদ্ধারে অসমর্থ। তাহারা "প্রতিমায়াং ঘটে পটে" অর্থাৎ প্রতিমায় ঘটে বা পটে ঐ পূজা করিতে পারে।
এ স্থানে করিবার কথা বলেন নাই বলিয়াছেন করিতে পার অর্থাৎ তোমার উপর ন্যস্ত হইল ইহার পর তোমার স্বাধীনতা তুমি কি করিবে তোমার বিষয়। ইহা করিলে অধমকল্প অর্থাৎ নিম্নস্তরের কার্য্য বোঝায় যেমন পাপকর কর্য্য। "আর এই শেষোক্ত প্রকার পূজার সময়ে যাহাতে দেবদেবীর আবির্ভাব হয়, এরূপ করিতে না পারিলে এ পূজায় বিশেষ কোনও ফল হয় না" কি করিয়া হইবে? আপনার নিকট একটি অন্যের ছবি ধরিয়া বলিলাম আপনার ছবি আপনি মানিয়া লইতে পারিবেন না তাহা হইলে কি করিয়া ঐ সত্যনিষ্ঠ দেবতা ঐ বিকৃতি ছবি বা মূর্তিতে আসিবে ভাবুন। সুতরাং প্রমাণ হইল উহা সত্যের অনুকূলে নহে। ঐ রূপ কাল্পনিক পূজা করিয়া অধঃপাতে যাইবার প্রয়োজন কি?
0 মন্তব্যসমূহ