পরমেশ্বর কিরূপে পিতৃ ও মাতৃ স্বরূপে বিরাজিত।



  পরমেশ্বর কিরূপে পিতৃ ও মাতৃ স্বরূপে বিরাজিত।

    তিনি যে অনন্ত অনন্ত অনন্ত গুণ শক্তি তাহা কঠোর গুণ, (অতএব পিতারূপ) তিনি নির্লিপ্ত রহিয়াও তাহার ইচ্ছা হইল, এই ইচ্ছাই কোমল গুণ (অর্থাৎ মাতারূপ) ইহার সহিত মিলিত হইয়া এই সৃষ্টি হইল। যেমন কোমল ও কঠোরের মিলনে নব সৃষ্টি হয়। এই সৃষ্টি ভক্তি রূপ কোমল গুণ। অর্থাৎ সমগ্র সৃষ্টিজগতই সীমাবদ্ধ কেননা জন্ম, স্থিতি ও লয় আছে এই তিন গুণ মিশ্র কোমল গুণ অতএব তেমনই ভক্তি কোমল মিশ্র গুণ সুতরাং সৃষ্টিমণ্ডল কোমল রূপী ভক্তিমাতা। তিনি নিরূপাধী, কঠোর দিক রূপী বলিয়া পরমপিতা বলা হইয়া থাকে তেমনই পরমেশ্বর, করুণাময় ইত্যাদি ইত্যাদি তেমনই ইচ্ছা গুণও কোমল রূপী মাতা। তাহাদের সংমিশ্রণে সৃষ্টি রূপী কোমল উৎপাদন হইয়াছে। তাই গুরুদেব একটী গানে বলিতেছেন- "কেমনে লভিব মাতা! ভক্তি দেবী তোমায় আমি? আমি যে অতি পাষণ্ড কাণ্ডজ্ঞানহীন জননী।" এখানে নিজেকে জননী বলিলেন কারণ গুরু মানেই ভক্তির দ্বার এই গুরুদ্বার দ্বারাই ঈশ্বর রাজ্যে প্রবেশ করিতে হয়। 


    যে প্রক্রিয়া পরমপিতার ভেতর আছে, ঠিক তেমনই গুরুর মধ্যেও বর্তমান, যেমন দীক্ষা একটী পরমজন্ম এই জন্মের পিতা গুরু মাতা বাহ্য জগতের অভিজ্ঞতার তাহাদের ভালোবাসা বিশ্বের মনোহর ভাব ইত্যাদি। গুরুকে পরমা ভক্তি করিতে হয় এখানে ভক্তি কোমল রূপ বলিয়া পরমা শব্দ প্রয়োগ হইয়াছে। গুরু কোমল হইয়াও দীক্ষাকালে পিতা স্বরূপ হইয়া বাহ্যজগতের অভিজ্ঞতা সহিত মিলিত হইয়াই দীক্ষা রূপ পরমজন্ম প্রদান করেন।

           -আদিষ্ট নিরুপম।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ