উপাসনা পদ্ধতির ব্যাখ্যা।
গুরুদেবের লিখিত উপাসনা পদ্ধতি তাহা কেমন একবারটি দেখা যাউক, সর্বপ্রথমে আমারা যাহার কৃপায় এই মহান আত্ম উন্নতির পথ প্রাপ্ত হইয়াছি, সেই গুরুদেবকে স্মরন করিয়া ২০বার বীজমন্ত্র জপ (যাহারা দীক্ষা বীজ প্রাপ্ত হইতে পারে নাই তাহারা "ওঁং সত্যং পূর্ণমমৃতং ওঁং" বলিবে অথবা পরমপিতার যেকোন একটি মঙ্গলময় " নাম" মনে মনে উচ্চারণ করিতে পারে।) করিবার পর সত্যধর্ম যে কি মহান, তাহার পরিচয়, তাহার আত্মমর্ম গাথার ব্যাখ্যা যদি না জানিতে পারি তাহা হইলে কি করিয়া মন আত্ম উন্নতির পথে আকৃষ্ট ইহবে ? তাহারি জন্য সত্যধর্ম্মর শ্রেষ্ঠতাসূচক সঙ্গীত।
ধর্ম্মের প্রতি আকৃষ্ট হওয়ার পর মনে ঔদাসীন্য ভাবের মধ্যে বৈরাগ্য উপস্থিতি হয়, এবং অনুতাপ ওপশ্চাতাপ এমন আইসে যে, সংসার অসারত্ব উপলব্ধি করিয়া যে বিরক্তি জন্মে তাহারি জন্যে নির্ব্বেদজনক সঙ্গীত। ইহার পর মনকে বোঝাইতে হয়, হে মন তুমি এতো কাল অলীকের পানে ছুটে না বেড়াইয়া, সত্যের দিকে ধাবিত হও। হে মন তুমি কি ভাবো! একবার প্রকৃত গুণের কথা কহো এবং জনগণকেও বল প্রকৃত ধনের কথা, তাই মনের প্রতি ও জনের প্রতি সদ্ভাব পূর্ণ সঙ্গীত। ইহাতে মন প্রশান্ত হইবার পর ৩ বার বীজ মন্ত্র জপ করিয়া পরমপিতার গুণের ব্যাখ্যা ও কীর্ত্তন করিতে করিতে স্বকীয় ক্ষুদ্রতা, সকল মালিন্য তিরোহীত হইয়া অন্তরে প্রকৃত গুণের অভাব হৃদয়ে সংগঠিত হইতে থাকে, ইহাই গুণর্কীর্ত্তন।
ইহার পর প্রকৃত ঘোরতর আত্মগ্লানি উপস্থিত হয়। ঐ আত্মগ্লানি-প্রভাবে ক্ষুদ্রতা দূরীভূত, মালিন্য তিরোহীত এবং অভাবের অভাব-সহকারে প্রকৃত ভাব আবির্ভূত হইতে থাকে। আত্মগ্লানি-দহনে দগ্ধ জীবের পশুভাব ও তজ্জন্য মলিনতা দূরীভূত হইয়া যাওয়াতে, প্রথমে মানবভাব ও পরিশেষে দেবভাব উপস্থিত হয়। ইহারি জন্য আত্মগ্লানি ভোগ করিতে হয়। ইহার পর প্রকৃত ক্ষুদ্রতা ও হীনতা ভাবের সৃষ্টি হইবে । পরমপিতার গুণকীর্ত্তনের পরে স্বীয় পাপের উল্লেখ করিতে হয়। হে উপাসক ! তুমি স্বীয় পাপ অন্যের নিকট বল বা না বল, জগদীশ্বরের স্বমুখে উল্লেখ করিও, তাহা হইলে দেখিতে পাইবে যে, তখনই তোমার আত্মগানি - উপস্থিত হইবে। ঐ আত্মগ্লানি-প্রভাবেই তুমি অগ্নিদগ্ধ স্বর্ণের ন্যায় মলিনতা -শূন্য হইতে পারিবে। প্রার্থনাকরী যতোই একাগ্রচিত্তে ও সাগ্রহ ভাবে প্রার্থনা করিবেন , প্রাথনীয় বিষয়ের অভাব- জন্য যতই ব্যাকুল হইবেন এবং হৃদয় যতোই আর্দ্র হইয়া ঈশ্বরাভিমূখী হইবে ,
ততই সহজে প্রার্থনা পূর্ণ হইতে পারিবে। পাপ নির্মূল হওয়ার পর অভিনব শান্তির উদয় হয়, ইহার পর বলিতে ইচ্ছা হয়, এত কাল শুধু পাপে পূর্ণ ছিল, এখন যখন মুক্ত হইলাম এখন একটু গুণ দেও, তাই গুণের জন্য প্রার্থনা। গুণ পাইবার পর এখন একটু নীরবে বসিতে ইচ্ছা হয়, ইহারি জন্য ধ্যান করা কর্ত্তব্য। ধ্যানের পর অন্ততঃ বিংশতিবার বীজমন্ত্র জপ করা কর্ত্তব্য। (কেহ কেহ সহস্র, দশ সহস্র ও লক্ষবারও জপ করিয়া থাকেন।) যাহার কৃপায় এই মহান কাজ করিতে পারিলাম কৃতজ্ঞতা স্বরূপ কৃপাময় স্তব বা গান। তাহার এত কৃপা, এত করুণা পাওয়ার দরুন অভিনব আনন্দ রসময়ের উদয় হয়, ইহারি জন্য আনন্দময় স্তব বা গান করিতে হয়। পরিশেষে যাহার দয়ায় এই সুমহান কার্য্যটি করিলাম তাহাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দিতে বাসনা হয়, ইহারি সুবাদে ধন্যবাদ সঙ্গীত।
ইহার পর ২০ বার বীজমন্ত্র জপ করিতে হয়।প্রণাম করিতে হয় বলিয়া প্রণাম মন্ত্র পাঠ করিতে পারি, কেননা তাহা গুরুদেব লিখিয়া গিয়াছে। অগ্রে যাহার অতুল আগ্রহে এই অমূল্য অমৃতের প্রসাদ প্রাপ্ত হইলাম, সেই পরম আরাধ্য গুরুদেবকে অসংখ্য ধন্যবাদ ও প্রণাম দিয়া উপাসনা সমাপ্ত হইবে। এই অমূল্য রত্ন অতি যত্নসহকারে সত্যধর্ম্ম সূত্রে গাঁথিয়া আমাদের গলে পরাইতে ব্যাকল আগ্রহে ভিক্ষারীর বেসে দাড়াইয়া আছে, আমারা কি একবিন্দু আগাইয়া ঐ মালা হৃদয় অন্তরে পড়িতে আগ্রহী হইব না?
ধর্ম্মের প্রতি আকৃষ্ট হওয়ার পর মনে ঔদাসীন্য ভাবের মধ্যে বৈরাগ্য উপস্থিতি হয়, এবং অনুতাপ ওপশ্চাতাপ এমন আইসে যে, সংসার অসারত্ব উপলব্ধি করিয়া যে বিরক্তি জন্মে তাহারি জন্যে নির্ব্বেদজনক সঙ্গীত। ইহার পর মনকে বোঝাইতে হয়, হে মন তুমি এতো কাল অলীকের পানে ছুটে না বেড়াইয়া, সত্যের দিকে ধাবিত হও। হে মন তুমি কি ভাবো! একবার প্রকৃত গুণের কথা কহো এবং জনগণকেও বল প্রকৃত ধনের কথা, তাই মনের প্রতি ও জনের প্রতি সদ্ভাব পূর্ণ সঙ্গীত। ইহাতে মন প্রশান্ত হইবার পর ৩ বার বীজ মন্ত্র জপ করিয়া পরমপিতার গুণের ব্যাখ্যা ও কীর্ত্তন করিতে করিতে স্বকীয় ক্ষুদ্রতা, সকল মালিন্য তিরোহীত হইয়া অন্তরে প্রকৃত গুণের অভাব হৃদয়ে সংগঠিত হইতে থাকে, ইহাই গুণর্কীর্ত্তন।
ইহার পর প্রকৃত ঘোরতর আত্মগ্লানি উপস্থিত হয়। ঐ আত্মগ্লানি-প্রভাবে ক্ষুদ্রতা দূরীভূত, মালিন্য তিরোহীত এবং অভাবের অভাব-সহকারে প্রকৃত ভাব আবির্ভূত হইতে থাকে। আত্মগ্লানি-দহনে দগ্ধ জীবের পশুভাব ও তজ্জন্য মলিনতা দূরীভূত হইয়া যাওয়াতে, প্রথমে মানবভাব ও পরিশেষে দেবভাব উপস্থিত হয়। ইহারি জন্য আত্মগ্লানি ভোগ করিতে হয়। ইহার পর প্রকৃত ক্ষুদ্রতা ও হীনতা ভাবের সৃষ্টি হইবে । পরমপিতার গুণকীর্ত্তনের পরে স্বীয় পাপের উল্লেখ করিতে হয়। হে উপাসক ! তুমি স্বীয় পাপ অন্যের নিকট বল বা না বল, জগদীশ্বরের স্বমুখে উল্লেখ করিও, তাহা হইলে দেখিতে পাইবে যে, তখনই তোমার আত্মগানি - উপস্থিত হইবে। ঐ আত্মগ্লানি-প্রভাবেই তুমি অগ্নিদগ্ধ স্বর্ণের ন্যায় মলিনতা -শূন্য হইতে পারিবে। প্রার্থনাকরী যতোই একাগ্রচিত্তে ও সাগ্রহ ভাবে প্রার্থনা করিবেন , প্রাথনীয় বিষয়ের অভাব- জন্য যতই ব্যাকুল হইবেন এবং হৃদয় যতোই আর্দ্র হইয়া ঈশ্বরাভিমূখী হইবে ,
ততই সহজে প্রার্থনা পূর্ণ হইতে পারিবে। পাপ নির্মূল হওয়ার পর অভিনব শান্তির উদয় হয়, ইহার পর বলিতে ইচ্ছা হয়, এত কাল শুধু পাপে পূর্ণ ছিল, এখন যখন মুক্ত হইলাম এখন একটু গুণ দেও, তাই গুণের জন্য প্রার্থনা। গুণ পাইবার পর এখন একটু নীরবে বসিতে ইচ্ছা হয়, ইহারি জন্য ধ্যান করা কর্ত্তব্য। ধ্যানের পর অন্ততঃ বিংশতিবার বীজমন্ত্র জপ করা কর্ত্তব্য। (কেহ কেহ সহস্র, দশ সহস্র ও লক্ষবারও জপ করিয়া থাকেন।) যাহার কৃপায় এই মহান কাজ করিতে পারিলাম কৃতজ্ঞতা স্বরূপ কৃপাময় স্তব বা গান। তাহার এত কৃপা, এত করুণা পাওয়ার দরুন অভিনব আনন্দ রসময়ের উদয় হয়, ইহারি জন্য আনন্দময় স্তব বা গান করিতে হয়। পরিশেষে যাহার দয়ায় এই সুমহান কার্য্যটি করিলাম তাহাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দিতে বাসনা হয়, ইহারি সুবাদে ধন্যবাদ সঙ্গীত।
ইহার পর ২০ বার বীজমন্ত্র জপ করিতে হয়।প্রণাম করিতে হয় বলিয়া প্রণাম মন্ত্র পাঠ করিতে পারি, কেননা তাহা গুরুদেব লিখিয়া গিয়াছে। অগ্রে যাহার অতুল আগ্রহে এই অমূল্য অমৃতের প্রসাদ প্রাপ্ত হইলাম, সেই পরম আরাধ্য গুরুদেবকে অসংখ্য ধন্যবাদ ও প্রণাম দিয়া উপাসনা সমাপ্ত হইবে। এই অমূল্য রত্ন অতি যত্নসহকারে সত্যধর্ম্ম সূত্রে গাঁথিয়া আমাদের গলে পরাইতে ব্যাকল আগ্রহে ভিক্ষারীর বেসে দাড়াইয়া আছে, আমারা কি একবিন্দু আগাইয়া ঐ মালা হৃদয় অন্তরে পড়িতে আগ্রহী হইব না?
প্রেম কামনাতীত, সুতরাং একাসনে (একটী অধিবেশন) কোনও কাম্যবিষয় প্রার্থনার সহিত প্রেমের জন্য প্রার্থনা করিবে না। অতএব প্রেমের অধিবেশন যখন হইবে তখন কোনওরূপ কাম্যবিষয়ক শব্দ গান, স্তব ও প্রার্থনায় থাকিতে পারিবে না। ইহা যত্ন পূর্ব্বক উপস্থাপন করিতে হইবে। কেননা ইহা হইলে ঐ অধিবেশনটাই বৃথা হইয়া যাইবে, কোনও রূপ ফল লাভ হইবে না। বিশেষ করিয়া অপরাধ হইবে ইহা লক্ষ্য রাখিতে হইবে। পাপ অনুরূপ শব্দ করুনাময় ইহা কোনও মতে প্রেমের অধিবেশনে প্রয়োগ করা যাইবেনা। ইহারই জন্য প্রেমের অধিবেশনে বিশেষ করিয়া আত্মগ্লানি ভোগে ব্যবহার করিতে হইবে "প্রেম হীনতা হেতু আত্মগ্লানি ভোগ" করিতে হইবে।
এই উপাসনা প্রনালী সাধারণের জন্য রচনা করিয়া দিয়াছেন গুরুদেব। বিশেষ জ্ঞান সমৃদ্ধ এবং বিজ্ঞান সম্মত রূপে বর্ধিত এই সুমহান আত্মোন্নতি সহায়ক গুণগ্রামে ভূষিত রচনা।
হে গুরুদেব, হে আবিষ্কারক মহান ত্যাগী আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ প্রদান করি। এই সুমহান রত্ন প্রদান করিয়া মোদের জীবন ধন্য করিয়াছেন।
আসুন আমরা পৃথিবীবাসী এই মহান রত্ন ধারণ পূর্ব্বক আত্মোন্নতি লাভ করিয়া মানব জন্মের স্বার্থকতা সম্পাদন করি।
- আদিষ্ট নিরুপম।
0 মন্তব্যসমূহ