প্রণবের পূজা হয় না।

প্রণব ওঁং অর্থাৎ অনন্ত অনন্ত অনন্ত গুণময় পরমপিতা। তিনি নিরাকার যেমন গুণ নিরাকার, উহা দেখাযায় না, ধরা যায় না বা স্পর্শ করা যায় না। কিন্তু অনুভূতি দ্বারা প্রকাশ্য মান উহার শক্তি ও ব্যাপ্তি দিপ্তমান । অতএব বহু গুণ পদার্থ একত্রিত হইয়া একটি বস্তু পদার্থের সৃষ্টি হয়, সুতরাং বস্তু পদার্থ দৃশ্য মান উহা দেখা যায় ধরা বা স্পর্শানুভূতি পাই উহা অন্তরস্থ করিতে পারি না কিন্তু গুণ অন্তরস্থ করিতে পারি কেহ যদি প্রেম নিবেদন করেন তাহা দেখিয়া প্রেমের সঞ্চার হয়, কিন্তু কোনও বস্তু অন্তরের ভেতরে প্রবেশ করাইতে পারিব না তাহার গুণ কার্যাবলী অন্তরস্থ করিতে পারি।

বস্তু যেমন রাম, শ্যাম, আমি সে অথবা কোনও তৈরী বস্তু যাহাই হোউক না কেন তাহার পূজা সম্ভব কিন্তু গুণের পূজা হয় না অর্চনা সম্ভব ।

ওঁং সৃষ্টি কর্ত্তা তিনি ছিলেন আছেন ও থাকিবেন তিনি অনন্ত অনন্ত অনন্ত গুণময় পিতা তাহার তুলনা নাই তিনি এক এবং অদ্বিতীয় কিন্তু গুরুদেব স্থূল তিনি সৃষ্টি কর্তা না সুতরাং গুরুদেবের আসনে তাঁহার সহিত "প্রণব" রাখিলে গুরুর সঙ্গে সঙ্গে প্রণবের পূজা হইয়া যায়। কঠিন তম মহা পাপে পতিত হইতে হয়। সত্যকে অবলম্বন করিয়া অসত্যের কার্য্য হইতে পারে না।

চারিদিকে দেখা যাইতেছে এইরূপ পাপকর কার্য্য উহা অচিরেই বন্ধ হইবার প্রয়োজন। কেননা ইহাতে সত্যধর্ম্মের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হইতেছে। আমাদের দেখিয়া সকলে যেন বুঝিতে পারে আমরা নিরাকার বাদি।

প্রণব প্রত্যেক সৎ সতীর গৃহে রাখিতেই হইবে পৃথক স্থানে। গুরু আসনে নহে।