স্বশরীরে থাকাকালীনও গুরুদেবকে কেহ তেমন চিনিতে পারে নাই।



     স্বশরীরে থাকাকালীনও গুরুদেবকে কেহ চিনিতে পারে নাই।

     গুরুদেব আক্ষেপ করিয়া ইহা লিখিয়াছিলেন কেননা তখনও তেমন কার্য্য করিতে পারে নাই তৎকালীন শিষ্যগণেরা। এখনও কি চিনিতে পারিতেছে? তিনি বলিয়াছিলেন ইহলোক হইতে পরলোকে গিয়া বেশী কাজ করিতে পারিবো ইহাও কেহ বোঝেন কি? যদি বুঝিতে পারিত তাহা হইলে সকলে বিচার না করিয়া গুরু বাক্যে অটল বিশ্বাস করিয়া চলিত তাহা নয় কি? বাড়িতে বাড়িতে ও উৎসবেও পর্যন্ত কল্পিত দেবদেবীর ছবি ও মূর্ত্তি ব্যাবহার করিত না। কেননা ইহাও তো নিষেধ করিয়াছেন। গুরুদেবকে পরমপিতার আসনে বসাইবার মতো ঘোরতর পাপ হইতো না, কেননা তাহাও হইতেছে অদ্যাপি। গুরুদেবের ছবি মুখোমুখি রাখিয়া পরমপিতা যে নিরাকার তাঁহার উপাসনায় বসিতেছে, নানান উৎসব ও অনুষ্ঠানে। ইহা কি দ্বিচারিতা নহে এদিকে সকলকে বলিতেছেন পরমপিতা নিরাকার আর সাকার ছবি সম্মূখে রাখিয়া উপাসনা হইতেছে। ইহা সত্যের অনুকূলে নহে। গুরুদেব তখনও ব্যাথিত হইয়া ছিলেন এখনও হইতেছেন। ইহা কতো দিন আর চলিবে? সত্যধর্ম্ম জ্ঞানের ধর্ম্ম, ইহাকে নিজের ইচ্ছায় যেমন খুশী চালনা করিলেই হইবে না সত্য একদিন সকলে বুঝিবে তখন কৈফিয়ৎ নিশ্চয়ই দিতে হইবে, কেননা ইহা পরলোকের ধর্ম্ম ইহলোকের ন্যায় কোনও নিয়ম নাই। অতএব সকলকে অনুরোধ করি যাহা যেমন ভাবে গুরুদেব লিখিয়া গিয়াছেন তাহা তেমনি ভাবে করিতে পারিলে গুরুদেব যে পরলোকে গিয়া বেশী কার্য্য করিতেছেন তাহা অতি সহজেই দর্শন করিতে পারিবেন। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ